TMC: আবাস যোজনা নিয়ে বড় নির্দেশ তৃণমূলের, পদাধিকারীদের জন্য জারি হল বিজ্ঞপ্তি!

Last Updated:

TMC: আবাস যোজনার ঘর পদাধিকারীরা পেলে ছেড়ে দিন বিজ্ঞপ্তি কোচবিহার তৃণমূল কংগ্রেসের।

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
#কোচবিহার: কোচবিহার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, সমস্ত ব্লক সভাপতি ও অঞ্চল সভাপতিদের কাছে সাংগঠনিক বার্তা দেওয়া হয়েছে। যাতে কোন অঞ্চলে অঞ্চল সভাপতি, গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য/সদস্যা বা আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে পদপ্রার্থী কারো নামে যদি আবাস যোজনার ঘর এসে থাকে তবে তারা যেন সেই ঘর গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন।দলের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে গড়ে উঠেছে। তাই দলের পঞ্চায়েত সদস্য/সদস্যা এবং আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের পদপ্রার্থী যারা হবেন তাদের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে তারা যেন এই নিয়ম মানেন।
জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক উল্লেখ করেছেন, দল জানে আমাদের বহু পঞ্চায়েত সদস্যা আছেন যাদের বাড়িতে একটিও ভালো ঘর নেই৷ ভাঙা টিনের চালের নীচে থাকেন। দলের সদস্যদের এই ত্যাগ বিজেপির তোলা স্বজন পোষণের অভিযোগের মুখে ঝামা ঘষে দেবে। রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা কোচবিহারের দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ নিজেই এই সাংগঠনিক নির্দেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন। এবার আবাস যোজনা নিয়ে দলীয় কর্মীদের সতর্ক করা হচ্ছে। প্রশাসনের কাজের ব্যাপারে নাক গলানো নয়।
advertisement
প্রসঙ্গত, চলো গ্রামে যাই কর্মসূচীতে আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। পঞ্চায়েতের আগে এই নিয়ে কড়া দল। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে বিধেঁছে বিরোধীরা। লাগাতার অনিয়মের অভিযোগ জানিয়ে আসছে তারা। এই অবস্থায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের কর্মীদের সতর্ক করে দেওয়া রাজনৈতিক ভাবেও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, "দলের তরফে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই ব্যাপারে৷ জনপ্রতিনিধি হিসাবে আপনার সাথে দেখা করতে অনেক মানুষ আসবে। তাদের সুবিধা-অসুবিধা দেখা অবশ্যই আপনার কাজ। কিন্তু প্রশাসনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। তাদের কাজের ব্যাপারে নাক গলানো যাবে না। অবশ্যই দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন। কিন্তু পাইয়ে দেওয়ার কাজ করা যাবে না। প্রশাসনের বেশ কিছু নিয়ম কানুন আছে। সেই নিয়ম মেনেই তারা এগোচ্ছে। সমীক্ষা করছেন তারা৷ ফলে তাদের কাজে বাধা দেওয়া। তাদের সমস্যায় ফেলা যাবে না। প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।"
advertisement
advertisement
প্রসঙ্গত আবাস যোজনার অধীনে বাড়ি প্রাপকদের তালিকা যাচাই করতে গিয়ে একাধিক জায়গায় আশা কর্মীরা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন বলেই অভিযোগ। মনে করা হচ্ছে মুখ্য সচিব এদিনের নির্দেশের মাধ্যমে স্পষ্ট করে দিয়েছেন কোনও রকম রাজনৈতিক চাপও এক্ষেত্রে কাজ করবে না।যদিও তালিকা যাচাই করা নিয়ে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আবাস প্লাস তথ্য ভান্ডারে নথিভুক্তদের নাম নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাচাই করে উপভোক্তাদের তালিকা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে আশাকর্মী,অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, প্রাণী বন্ধু, ভিলেজ পুলিশ ও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মীদের নিয়ে দল গঠন করতে বলা হয়েছে।
advertisement
প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা নিয়ে ইতিমধ্যেই কড়া অবস্থান নিয়েছে রাজ্য। গ্রামীন আবাস যোজনার অধীনে প্রাপকদের তালিকায় সমীক্ষা করতে গিয়ে কোনওরকম বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। এবিষয়ে জেলাশাসকদের নিয়ে বিশেষ ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন মুখ্য সচিব। সেই বৈঠকেই এই নির্দেশ দেন বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। পাশাপাশি কেউ যদি বাধা সৃষ্টি করে, তাহলে চরম পদক্ষেপ করা হবে বলে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুখ্য সচিবের তরফে ৷ এমনটাই নবান্ন সূত্রে খবর।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
TMC: আবাস যোজনা নিয়ে বড় নির্দেশ তৃণমূলের, পদাধিকারীদের জন্য জারি হল বিজ্ঞপ্তি!
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement