#ইটাহার: আজ থেকে আদিবাসী এলাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের সাফল্য তুলে ধরবে দল। আদিবাসীদের উন্নয়নে তিনি কী কী কাজ করেছেন তার খতিয়ান তুলে ধরা হবে। তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে ভুল বোঝাচ্ছে বিজেপি, এই বার্তা দেবে শাসক দল। আজ, শনিবার থেকে প্রচার শুরু উত্তরের জেলায়।
আজ সভা হবে ইটাহারে। এর পর মালদহ ও দুই দিনাজপুর। তার পর একে একে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারেও সভা বসবে৷ ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেনকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর আদিবাসী এলাকায় সভার আয়োজন করতে বলা হয়েছে৷ আজ ইটাহারে বীরবাহা হাঁসদা ও জ্যোৎস্না মান্ডিকে নিয়ে সভা আদিবাসী এলাকায়। এছাড়া উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র, গোলাম রব্বানি, সত্যজিৎ বর্মণ।
আদিবাসীদের জন্য মমতা কী কী করেছেন সেই প্রচার হবে ঘরে ঘরে গিয়ে। সারি ধর্ম নিয়ে মমতার কাজ ও কেন্দ্রকে পাঠানো চিঠি দেখানো হবে। শীঘ্রই শুরু হবে এই সব রাজনৈতিক কর্মসূচী। সারি ধর্ম নিয়ে রাজ্য সরকার চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে৷ সেই ইস্যুকে তুলে ধরতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রশাসনিক স্তরেও শুরু হয়েছে ব্যস্ততা৷ বিভিন্ন বিধায়কদের এই বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
১৮ লাইনের এই চিঠিতে রাজ্যের প্রচেষ্টার কথা ছত্রে ছত্রে উল্লেখ করা হয়েছে৷ মমতা উল্লেখ করেছেন, রাজ্যের আদিবাসী সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ 'সারনা' ধর্ম ও অনেকে 'সারি' ধর্মে বিশ্বাস করেন ও মেনে চলেন। এই দুই ধর্মের স্বীকৃতি রাজ্যের আদিবাসী মা-ভাই-বোনেদের দীর্ঘ দিনের দাবি৷ কিন্তু এই দাবিকে স্বীকৃতি দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার আজ পর্যন্ত কোনও ইতিবাচক ভূমিকা নেয়নি। যদিও আদিবাসী সমাজের এই ভাবাবেগকে রাজ্য সরকার সবসময় সম্মান দিয়েছে এবং এই দুই ধর্মের স্বীকৃতির বিষয়টি নিয়ে অনেক আগেই, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। একাধিকবার কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত নীরব। রাজ্য সরকার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দের স্মৃতি এবার কলকাতায়, শীঘ্রই কলকাতায় ভেসে বেড়াবে প্যাডেল স্টিমারতাই গত ৬ জুলাই রাজ্য মন্ত্রিসভায় এর ওপর রাজ্য একটা নির্দিষ্ট প্রস্তাব পাশ করিয়েছে। মন্ত্রীসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, উপজাতীয় সম্প্রদায়ের একটি অংশের জন্যে 'সারনা' ধর্মের স্বীকৃতির বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে৷ মন্ত্রীসভা আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাজ্য বিধানসভার পরবর্তী অধিবেশনে এই বিষয়ের উপর বিলও আনা হবে৷ তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, রাজ্য সরকারের এই প্রয়াস নিশ্চয় ফলপ্রসূ হবে ও রাজ্যের আদিবাসীদের আশা যথা শীঘ্র পূরণ করা যাবে। রাজ্যের এই প্রচেষ্টার কথা প্রতিটি বিধায়কদের তার এলাকার আদিবাসী সমাজের মানুষদের কাছে যথাযথ ভাবে তুলে ধরতে বলা হয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Tribal Festival