Alipurduar News: কেঁচো সার চা পাতার উপর নির্ভরতা কমাচ্ছে

Last Updated:

চা বাগান থেকে রোজগার নিয়ে হামেশাই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। ফলে শ্রমিক পরিবারগুলোর সংসার চালাতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে

+
কেঁচো

কেঁচো সার

আলিপুরদুয়ার: চা পাতা তুলে নয়, চা বাগান লাগোয়া শ্রমিক বস্তির মহিলারা এখন কেঁচো সার তৈরি করে আয়ের মুখ দেখছেন। চা বাগানেই এই কেঁচো সার তৈরি করছেন তাঁরা। মধু চা বাগানের বেশকিছু মহিলা শ্রমিক মিলে গত বছর আড়াই টন কেঁচো সার উৎপাদন করেছিলেন। এবছর তা বাড়িয়ে ১০ টন সার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন তাঁরা।
চা বাগান থেকে রোজগার নিয়ে হামেশাই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। ফলে শ্রমিক পরিবারগুলোর সংসার চালাতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে চা বাগান বন্ধ হয়ে গেলে কার্যত হাঁড়ি চড়া বন্ধ হয়ে যায়। এই যন্ত্রণা আলিপুরদুয়ারের মধু চা বাগানের শ্রমিক পরিবারগুলি ভালমতোই জানে। দীর্ঘ সাতবছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালে আবার কাজ শুরু হয়েছে এই চা বাগানে। আর তাই বাগানের শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা যাতে শুধু চা বাগানের ওপর নির্ভর না থাকে তার জন্য এফ বিকল্প আয়ের সন্ধান অনেকদিন ধরেই চলছিল। অবশেষে কেঁচো সার উৎপাদনের মধ্য দিয়ে সেই পথ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।
advertisement
advertisement
মধু চা বাগানের বেশ কিছু শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা মিলে গতবছর একটি সমবায় সমিতি তৈরি করেন। এরপর তাঁরাই সমবায় দফতরের আলিপুরদুয়ার শাখা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কেঁচো সার তৈরির কাজ শুরু করেন। গত বছর তাঁরা যে কেঁচো সার উৎপাদন করেছিলেন তা পরবর্তীতে বিক্রি করেছিলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ‍্যালয়কে। এবার উৎপাদনের পরিমাণ এক ধাক্কায় পাঁচগুণ বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে সমিতি। এই সমিতির সদস‍্য রঞ্জিতা ওরাঁও বলেন, প্রতিদিন চা বাগানের কাজের পর বা কাজ শুরুর আগে কেঁচো সার উৎপাদনের কাজে হাত লাগাই সবাই। বেশি সময় দিতে পাড়ি না।এক থেকে দু’ঘণ্টা সময় দিতে হয় সকলকে। এভাবেই কাজে গিয়ে চলেছে।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
বর্তমানে মধু চা বাগানের এই সমতিতে ১০২ জন সদস্য আছেন। কেঁচো সার উৎপাদনের কোন কাজটাকে কখন কে করবে যাবতীয় দায়িত্ব ভাগ করা আছে এই সদস্যদের মধ্যে। কেঁচো সার একটি জৈব সার যা জমির উর্বরতা বাড়াতে ব্যবহার করা হয় । ১ মাসের বাসী গোবর বা তরকারির ফেলে দেওয়া অংশ, ফলমূলের খোসা, উদ্ভিদের লতাপাতা, হাঁস-মুরগির মল, ছোট ছোট করে কাটা খড়কুটো আগে জমা করেন এই মহিলারা। জানা যায় এগুলি খেয়ে কেঁচো মল ত্যাগ করে এবং এর সঙ্গে কেঁচোর দেহ থেকে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ বের হয়ে। যে সার তৈরি হয় তাঁকে কেঁচো কম্পোস্ট বা ভার্মি কম্পোস্ট বলা হয়। এই সার সব ধরনের ফসলের ক্ষেতে ব্যবহার করা যায়।
advertisement
অনন্যা দে
view comments
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
Alipurduar News: কেঁচো সার চা পাতার উপর নির্ভরতা কমাচ্ছে
Next Article
advertisement
West Bengal Weather Update: উইকেন্ডে কি ফের হাওয়া বদল? রাজ্য জুড়ে আবহাওয়া কেমন থাকবে, দেখে নিন
উইকেন্ডে কি ফের হাওয়া বদল? রাজ্য জুড়ে আবহাওয়া কেমন থাকবে, দেখে নিন
  • উইকেন্ডে কি ফের হাওয়া বদল ?

  • রাজ্য জুড়ে আবহাওয়া কেমন থাকবে

  • জেনে নিন আবহাওয়ার আপডেট

VIEW MORE
advertisement
advertisement