হোম /খবর /শিলিগুড়ি /
আতঙ্কের রেশ এখনও, দুঃস্বপ্ন নিয়ে কাবুল থেকে অবশেষে বাড়িতে

Afghanistan : আতঙ্কের রেশ এখনও, দুঃস্বপ্ন নিয়ে কাবুল থেকে অবশেষে বাড়িতে

দেশে ফেরার আগ মূহূর্ত পর্যন্ত চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলেন

দেশে ফেরার আগ মূহূর্ত পর্যন্ত চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলেন

পরিবারের সঙ্গে কাবুল (Kabul) থেকে শেষ বার যোগাযোগ হয়েছিল। দুবাই পৌঁছনর পর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ।

  • Share this:

শিলিগুড়ি : আজও ফিরলেন অনেকেই। কাবুল থেকে কেউ দুবাই, লন্ডন হয়ে দিল্লি। আবার কেউ কাবুল থেকে দুবাই, লন্ডন, কাতার, দোহা হয়ে দিল্লি। তার পর দিল্লি থেকে উড়ানে বাগডোগরা বিমানবন্দর। এক লম্বা যাত্রা। সঙ্গে উদ্বেগ। পরিবারের সঙ্গে কাবুল থেকে শেষ বার যোগাযোগ হয়েছিল। দুবাই পৌঁছনর পর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ।

১৫ অগাস্ট তালিবানরা কাবুল দখল করার পর এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার ওঁরা। চারপাশে শুধু বোমা আর গুলির আওয়াজ! ওঁরা সকলেই নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাবুলে কাজ করতেন। কেউ ব্রিটিশ দূতাবাসে । কেউবা আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে। আবার কেউ অন্য কোনও দেশের দূতাবাসে। চোখের সামনে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়, দূতাবাসের দখল নেয় তালিবানরা। ওদের কো-অর্ডিনেটররাও তখন গোটা টিমকে নিরাপত্তা দিতে ব্যস্ত।

১৫ থেকে ২০ অগাস্ট অনেকেরই মেলেনি খাবারও। দেশে ফিরতে পারবেন তো ? বার বার করে ওই একটি প্রশ্নই তাড়া করে বেড়িয়েছে। তালিবানদের জঙ্গলরাজ চলছে তখন। চলছে গুলির লড়াই। " বাড়ি ফিরতে পারব, ভাবতেই পারিনি।" বাগডোগরা বিমানবন্দরে বলছিলেন শিলিগুড়ি লাগোয়া শালুগাড়ার অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী নির্মল গিরি। কথা বলার সময়ও হাত, পা কাঁপছিল তাঁর। একই সুর শালুগাড়ারই বাসিন্দা সুদেশ লামা, দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা সানতারা সুব্বাদের কণ্ঠেও।

স্বস্তির আবহ দার্জিলিংয়ের গিং চা বাগানের গুরুং পরিবারেও। আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন শুরু হতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন উমেশ গুরুং। ব্রিটিশ দূতাবাসে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। দেশে ফেরার আগের মূহূর্ত পর্যন্ত চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলেন। বার বার করে চোখে ভাসছিল দার্জিলিংয়ের বাড়িতে থাকা শিশুর মুখ।

কাবুল থেকে দুবাই, লন্ডন হয়ে অবশেষে দিল্লি । খুশি তাঁর পরিবারের লোকেরাও । তবে তালিবানিরাজের বীভৎসতা দেখতে হয়নি শিলিগুড়ির মেডিক্যাল মোড়ের বাসিন্দা অমিত থাপার । কাবুল তালিবানদের দখলে চলে যাওয়ার পর থেকেই ব্রিটিশ সেনাদের ক্যাম্পে ঠাঁই হয়েছিল । তারপর তালিবানরাই এসকর্ট করে বিমানবন্দর পর্যন্ত পৌঁছে দেয় । বাড়ি ফিরতে পেরে খুশি অমিত জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের যাবেন কাবুলে। সেইসঙ্গে তাঁর আর্জি, কাবুলে আটকে থাকা ভারতীয়দের যেন দ্রুত ফিরিয়ে আনা হয়।

Published by:Arpita Roy Chowdhury
First published:

Tags: Afghanistan, Kabul, Taliban