#শিলিগুড়ি: অন্যরকম পুজোর ঘোরা। মজাটাও আলাদা। বছরভর চার দেওয়ালেই আটকে থাকে ওঁদের জীবন। বৃদ্ধাশ্রমের চৌকাঠ পেরোনো সম্ভব নয়। ওটাই ওদের জীবন। ওখানেই সংসার, আনন্দে মেতে ওঠা। গল্পের বই পড়া, একটু আড্ডায় বসা। যারা এক সময় নিজেদের ছেলে, মেয়েদের হাতে করে পুজোয় ঘুরিয়েছেন। আজ ওরাই বন্দী। বয়সের ভারে বের হয়ে ওঠা হয় না। পুজোর দিনগুলোতে ওদের মুখে হাসি ফোটাতে এগিয়ে এল শিলিগুড়ি পুলিশ। বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের নিয়ে বেড়িয়ে পড়া শহরের পুজো মণ্ডপে। এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বাসে চেপে পুজো ভ্রমণ।
ষষ্ঠীতে এমনই আয়োজন করে শিলিগুড়ি পুলিশ। কমিশনারেট অফিস থেকে পুলিশের গাড়িতে চেপে পুজো ভ্রমণে বেড়িয়ে পড়েন বৃদ্ধ, বৃদ্ধারা। শিলিগুড়ির উত্তর থেকে দক্ষিন, পূর্ব থেকে পশ্চিমের প্রায় সব বড় মণ্ডপে দেবী দর্শন। পুলিশের এ হেন উদ্যোগে আজ ওরা খুশী। শারোদৎসবে মেতে ওঠার আনন্দ যে! প্রথমে সকলের মাথায় বিশেষ টুপি পড়িয়ে দেন পুলিশ কমিশনার। টিফিন থেকে পুজো দেখার ফাঁকেই রেস্তোরায় বসিয়ে লাঞ্চও করায় পুলিশ।
পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা নিজেই ফ্ল্যাগ অফ করে যাত্রার সূচনা করেন। রীতিমতো ঘটা করেই আজ শহরের এক বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের নিয়ে ছুটে পুলিশ বাস। গাড়িতে চাপিয়ে দেওয়া থেকে নামিয়ে মণ্ডপে নিয়ে যাওয়া সবটাই সারেন পুলিশ কর্মীরা।
মূলত বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকেরা যাতে বাঙালির সেরা পার্বন দূর্গোৎসবের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হন, তাই এই উদ্যোগ। নতুন শাড়ি, জামা, কাপড় পড়ে ষাটোর্ধ নাগরিকেরাও আজ এক অন্য আনন্দে মেতে ওঠেন। ওরাও বেশ অভিভূত এমন আয়োজনে। গত বছর করোনার জেরে পুজো দেখা হয়ে ওঠেনি। এ বারেও সম্ভব হওয়ায় অনেকেরই চোখে ছিল আনন্দাশ্রু। তার আগে অন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে দিনটি পালন করেন। এ বারে ওদের নিয়েই পুজোয় ভ্রমণ পুলিশের। এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, 'সিনিয়র সিটিজেনদের আশির্বাদ এবং সম্মান না জানালে কোনও উৎসবই সম্পূর্ণ হয় না।'
Partha Sarkar
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Siliguri