#শিলিগুড়ি: মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি কেন্দ্রে মনোনয়ন জমা (Nomination) দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রার্থী রাজেন সুনদাস (Rajen Sundas)। আজ মঙ্গলবার মাদল, ঢাক আর মতুয়াদের বিশেষ বাজনার তালে দলীয় কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দেন তিনি। প্রথমে এই কেন্দ্রে তৃণমূল টিকিট দিয়েছিল ক্যাপ্টেন নলিনীরঞ্জন রায়কে। কিন্তু আচমকাই প্রার্থী বদল করে দল। সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া অবসরপ্রাপ্ত সরকারী আমলা রাজেন সুনদাসকে বেছে নেওয়া হয়। যদিও নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগেই গোটা বিধানসভা এলাকাজুড়ে ক্যাপ্টেন নলিনীরঞ্জন রায়ের সমর্থনে দেওয়াল লিখন, পোস্টার, ফ্লেক্স পড়ে গিয়েছিল। প্রার্থীও পুরোদমে প্রচারও শুরু করে ফেলেছিলেন।
তবে কেন শেষ মূহূর্তে প্রার্থী বদলালো তৃণমূল? দলীয় সূত্রের খবর, ক্যাপ্টেনের পেশ করা মনোনয়ন পত্রে কিছু তথ্যে ভুল ছিল। তারওপর বিমল গুরুংয়ের চাপ ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, এই কেন্দ্রে ভোটের ফল নির্ণয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে গোর্খা ভোট ব্যাঙ্কের। তাই সম্ভবত প্রার্থী বদল করে তৃণমূল। আজ প্রার্থীর মনোনয়নের শোভাযাত্রায় গুরুংপন্থী মোর্চা কর্মী, সমর্থকদের বড় অংশ যোগ দেয়। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার, নির্বাচন কমিটির দলের চেয়ারম্যান নলিনী রঞ্জন রায়, রাজ্যসভার সাংসদ শান্তা ছেত্রীও। এবারে এই আসন জয় নিশ্চিত বলেই দাবী জেলা সভাপতির।
অন্যদিকে, শাসক দলের প্রার্থী বদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ কেন্দ্রের দু'দুবারের বিধায়ক সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী শঙ্কর মালাকার এবং বিজেপি প্রার্থী আনন্দ বর্মন। বাম-বিজেপির দাবি, এই বদলের ফলে শাসক দল নাকি লড়াইয়ে অনেকটাই পিছিয়ে গেল।
এ দিকে নিজের গড়ে জয় নিশ্চিত করতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জনসংযোগ বাড়ানোর দিকে জোর দিচ্ছেন শিলিগুড়ির সিপিআইএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য। পায়ে পায়ে প্রচারের চাইতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ছোটো ছোটো ভোটার্স মিটকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১৫টি এই ধরনের 'মিট' করছেন তিনি। সরাসরি ভোটারদের মনোবল বুঝতেই এই কৌশল।ভোটারদের অভাব, অভিযোগ শুনছেন। সেই তালিকা লিপিবদ্ধ করছেন।
এ দিন বিকেলে ৪৬ নং ওয়ার্ডে ভোটার্স মিটে যান তিনি। সন্ধ্যের পর থেকে সংখ্যাটা বাড়তে থাকে। অশোকবাবুর দাবী, লড়াই তৃণমূল এবং বিজেপির নীতির বিরুদ্ধে। প্রচারে ভাল সাড়া মিলছে। জয় নয়, জয়ের ব্যবধান নিয়ে ভাবছি।
Partha Sarkar