#শিলিগুড়িঃ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে গোটা রাজ্যেই। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে রাজ্যবাসীকে। সকলের মুখে মুখে ঘুরছে একটিই প্রশ্ন, আবারও কি লকডাউন হবে? জারি হবে নাইট কার্ফু? যদিও এ নিয়ে রাজ্য সরকার ধীরে চলো নীতি নিয়ে চলছে। আপাতত তেমন সম্ভাবনা নেই বলেই মালদায় পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
কিন্তু সংক্রমণ রুখতে যা যা করণীয় তা কি করছে রাজ্যবাসী? উত্তর এল "না"! তাহলে গ্রাফ নামবে কোন পথ ধরে? এখনও অনেকেরই মুখ ঢাকেনি মাস্কে। হ্যাণ্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহারও কমে এসছে। আর পারস্পরিক দূরত্ব মেনে চলার কথা না বলাই ভাল। সবমিলিয়ে সংক্রমণ রুখতে কোভিড বিধি মানা কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছে। সেই সুযোগে জাল ছড়াচ্ছে করোনা। বাড়ছে আতঙ্ক। পর্যাপ্ত টিকা নেই রাজ্যে। নেই অক্সিজেন সিলিণ্ডারও। এ নিয়ে কেন্দ্রকেই দুষেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় শুরু হয়েছে সচেতনতা। আজ এনজেপি স্টেশনে দূরপাল্লার ট্রেনে আসা যাত্রীদের হাতে মাস্ক ও স্যানিটাইজার তুলে দিলেন পেশায় পুলিশ কর্মী সমাজসেবী বাপন দাস। সেইসঙ্গে রেলের প্রতিটি কামরার বাথরুমে রাখলেন একটি করে সাবানও। মূলত রেল যাত্রীদের সুরক্ষিত রাখতেই তাঁর এই প্রয়াস। স্টেশনের ভবঘুরেদের মুখে নিজেই পড়ালেন মাস্ক। লকডাউনের সময়েও কলকাতা পুলিশের এই কর্মীকে দেখা গিয়েছিল রাস্তায়। ভবঘুরেদের প্রতিদিন দু'বেলা খাবার তুলে দিয়েছিলেন টানা। নিজের বেতনের টাকা সঞ্চয় করে বিভিন্ন হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ ঘুরে ঘুরে বিলি করেছিলেন মাস্ক, হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই ফের স্বমহিমায় বাপন দাস! অন্যদিকে করোনার গ্রাফ কমাতে আজ থেকে অন্য পথ বেছে নিয়েছে শিলিগুড়ির সেবক রোডের ব্যবসায়ীদের সংগঠন। মাইকিং করে তারা ঘোষণা করে প্রতিদিন সন্ধ্যে ৬টার পর থেকে সেবক রোডের কয়েকশো দোকান বন্ধ থাকবে অনির্দিষ্টকাল। সংক্রমনে লাগাম টানতেই তাদের এই উদ্যোগ আজ থেকে শুরু।
Partha Sarkar
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, North Bengal