জমেছে পচা লাশের পাহাড়! দুর্গন্ধে টেকাই দায়, এক রাতের ঝড়ে কী এমন হল? জানলে চমকে যাবেন
- Published by:Ankita Tripathi
- news18 bangla
- Reported by:RAJKUMAR KARMAKAR
Last Updated:
হাসপাতালের মর্গে জমেছে পচা লাশের পাহাড়। দুর্গন্ধে টেকা দায়।
আলিপুরদুয়ার: হাসপাতালের মর্গে জমেছে পচা লাশের পাহাড়। দুর্গন্ধে টেকা দায়। অতিষ্ঠ হাসপাতাল কর্মী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারাও। ঝড়ে শহরের একমাত্র ইলেকট্রিক চুল্লির শ্মশান বন্ধ হয়েই মর্গে জমেছে লাশের পাহাড়।
সূত্রের খবর, তার জেরে বেওয়ারিশ লাশ দাহ করা যাচ্ছে না। জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে জমা হয়েছে বেওয়ারিশ পচা গলা ১৮ লাশ। তা থেকে নিয়মিত দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দুর্গন্ধে আশপাশের মানুষেরা বাড়িতে বসবাস করতে পারছেন না। অসুবিধেয় পড়েছেন হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের আত্মিয়রা।
সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন নিয়মিত হাসপাতালে ডিউটি করা হাসপাতাল কর্মীরা। দুর্গন্ধ এসে ঢুকে যাচ্ছে হাসপাতাল সুপারের চেম্বারের ভেতরেও। হাসপাতাল কর্মীরা সমস্যায়। সমস্যার কথা স্বিকার করেছেন হাসপাতাল সুপার নিজে। শ্মশানের চুল্লি ঠিক হতে একমাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন শ্মশান কর্মীরা।
advertisement
advertisement
সমস্যা সমাধানে পুরসভার বিকল শ্মশান কবে ঠিক হবে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সুপার ডাঃ পরিতোষ মণ্ডল বলেন, “বেওয়ারিশ ১৮ খানা লাশ জমা হয়েছে। এর মধ্যে দুই মাসের পুরনো লাশের সংখ্যাই ৮। এগুলো পচে গন্ধ বের হচ্ছে। সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছি আমরা হাসপাতাল কর্মীরা। কারণ আমাদের নিয়মিত হাসপাতালে ডিউটি করতে হচ্ছে। বিষয়টি পুরসভাকে জানিয়েছি। কিন্তু ইলেকট্রিক চুল্লির শ্মশান বন্ধ থাকায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। দ্রুত সমস্যা মিটবে বলে আশা করছি।”
advertisement
জানা গিয়েছে কয়েকদিন আগে ঝড়ে ইলেকট্রিক চুল্লির শ্মশানের চিমনি ভেঙে গেছে। তা মেরামতের কাজ শুরু করেছে পুরসভা। কিন্তু এই চিমনি মেরামত করতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে। তাহলে কী চুল্লি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত পচা লাশের দুর্গন্ধ থেকে রেহাই পাবে না হাসপাতাল চত্বর। আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান বাবলু কর বলেন, “ঝড়ে চিমনি ভেঙে যাওয়ায় ইলেকট্রিক চুল্লি বন্ধ রয়েছে। পাশেই কাঠ দিয়ে মৃতদেহ দাহ করার ব্যবস্থা রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাইলে সেখানে মৃতদেহ দাহ করতে পারে।”এদিকে পচা লাশের দুর্গন্ধে এলাকায় টেকাই দায় হয়ে উঠেছে।
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দা বাবলু রায় বলেন, “গোটা এলাকায় দুর্গন্ধে টেকা যাচ্ছে না। সকলের অসুবিধে হচ্ছে। যে কোনওভাবে সমস্যার সমাধান করতে হবে। নাহলে দুর্গন্ধে মানুষজন অসুস্থ হয়ে পড়বে।” শহরের স্বেচ্ছা সেবি সংস্থার কর্তা রাতুল বিশ্বাস বলেন, “এটি একটি মারাত্মক সমস্যা। বসে থাকলে এই সমস্যার সমাধান হবে না। কোনও একটা উপায় প্রশাসনকে বের করতেই হবে। নাহলে দুর্গন্ধ আরও বাড়বে।”
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
July 29, 2025 4:22 PM IST