Offbeat Travel Destination: স্পষ্ট ইতিহাস, প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবেশে একবার গেলে ফিরে আসতে ইচ্ছে করবে না!

Last Updated:

Offbeat Travel Destination: বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবেশ রয়েছে মালদহের জগজীবনপুর গ্রামের, প্রাচীন বাংলার নিদর্শন এই সৌধ, বহু পর্যটক এখানে আসেন।

+
জগজীবনপুর

জগজীবনপুর বৌদ্ধবিহার 

মালদহ: ইতিহাসে সমৃদ্ধ মালদহ জেলা। প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড়ের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। সঙ্গে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আরও নানান নিদর্শন। সেগুলির মধ্যে অন্যতম সেই সমকালীন বৌদ্ধবিহার। জেলার হবিবপুর ব্লকের জগজীবনপুুর গ্রামে রয়েছে প্রাচীন বাংলার এই সৌধ বৌদ্ধবিহার।
এখানে আপনি দেখতে পাবেন বৌদ্ধবিহারের নানান সামগ্রী, সরকারি উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে একটি সংগ্রহশালা। এই বৌদ্ধবিহার থেকে উদ্ধার বিভিন্ন সামগ্রী রয়েছে এখানে। ইতিহাসের টানে বহু গবেষক যেমন এখানে আসেন পাশাপাশি পর্যটকদের কাছেও আকর্ষণীয় এই প্রাচীন সৌধ। মালদহ শহর থেকে মাত্র ৪২ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই বৌদ্ধবিহারের ধ্বংসাবশেষ। একদিনে ঘুরে আসা যায় এখানে। নবম শতাব্দীর পাল যুগের বৌদ্ধবিহারের সাম্রাজ্য আবিষ্কার হয়েছিল মালদহের হবিবপর ব্লকের বৈদ্যপুর পঞ্চায়েতের জগজীবনপুর গ্রামে।
advertisement
আরও পড়ুন: বিরাট খবর! নিজেদের হাতে থাকা ৯৫ ভারতীয়কে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলল বাংলাদেশ! তোলপাড় ভারতেও
১৯৮৭ সালে এলাকাটিকে সংরক্ষিত করা হয়। খননকার্য চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ধ্বংস হয়ে যাওয়া প্রাচীন নানান নিদর্শন। পুরাতত্ত্ব বিভাগের উদ্যোগে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দফায় দফায় চলে খনন কাজ। উদ্ধার পুঁথি থেকে বিভিন্ন সামগ্রী থেকে জানা যায়নবম শতাব্দীর পাল যুগের তৎকালীন রাজা মহেন্দ্র পাল, দেব পাল, ধর্ম পাল নিজেদের রাজত্ব থাকাকালীন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের সেই প্রাচীন নিদর্শন কেন্দ্রটি দান করে গিয়েছিলেন রাজা মহেন্দ্র পাল।
advertisement
advertisement
সেই থেকেই বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের মঠ হিসাবে উল্লেখিত রয়েছে মালদহের জগজীবনপুর। যদিও ইতিহাসের খাতায় এবিষয়ে কোন উল্লেখ নেই। বর্তমান সময়ে জগজীবনপুরের বৌদ্ধবিহার নিদর্শন কেন্দ্রটি উদ্ধার হয়েছে। সেখানে আগে আট থেকে নয়টি পরিবার বসবাস করতো।
আরও পড়ুন: ‘নতুন’ বাংলাদেশে ছাড় পেলেন না রবীন্দ্রনাথও! এই জায়গা থেকে মুছে গেল কবিগুরুর নাম, শুনে বুক কেঁপে উঠবে!
১৯৮৭ সালে মাটি কাটতে গিয়েই বৌদ্ধদের একটি তাম্রলিপি উদ্ধার হয়। সেই সময় হওয়া ওই তাম্রলিপ্ত পুরাতত্ত্ব বিভাগকে দেওয়া হয়। জানানো হয় প্রশাসনকে। ধীরে ধীরে পুরাতত্ত্ব বিভাগ জগজীবনপুরের ওই জায়গাটি নিয়ে গবেষনা শুরু করে। ১৯৮৫ সালে শেষের দিকে শুরু হয় খননকার্য। ইতিহাসবিদ এম আতাউল্লাহ বলেন, মালদহ জেলা সৌভাগ্যবান। এখানে প্রাচীন বাংলার নানান ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য জগজীবনপুরের বৌদ্ধবিহার। এখানে বহু ইতিহাস গবেষক ও পর্যটকেরা আছেন সমৃদ্ধ হন।
advertisement
তারপরে ধীরে ধীরে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের এই নিদর্শন কেন্দ্র বেরিয়ে আসতে শুরু করে। জগজীনবনপুর বৌদ্ধবিহারটি রয়েছে ৫ বিঘার উপর।চারিদিকে রয়েছে চারটি ওয়াচ টাওয়ার। মাঝখানে বিশাল উঠান। চারিদিকে আছে বারান্দা। রয়েছে একটা বিশালাকায় কুয়ো। চারিদিকে রয়েছে থাকার ঘর। সাতটি শৌচালয়। রয়েছে একটি উপাসনা কক্ষ। পাশেই রয়েছে নব নির্মিত মিউজিয়াম।
হরষিত সিংহ
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
Offbeat Travel Destination: স্পষ্ট ইতিহাস, প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবেশে একবার গেলে ফিরে আসতে ইচ্ছে করবে না!
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement