Child Fever| Bangla News|| রাজ্যে শিশুদের ভাইরাল ফিভার আদৌ 'অজানা জ্বর' নয়, সাফ জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা

Last Updated:

North Bengal unknown Fever identified: বৃহস্পতিবার শহরের দুই শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের মতে, আদৌ এটা অজানা জ্বর নয়। করোনাকালে টিকা দেওয়ার সমস্যা, আবহাওয়ার পরিবর্তন, বাবা-মায়ের বাহিত ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস শিশুদের শরীরে গিয়েই তাদের সংক্রামিত করছে।

#কলকাতা: রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ ঘরে ঘরে ভয় বাড়াচ্ছে অজানা জ্বর। আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। মূলত ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণ হলেও উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই ছয় শিশুর শরীরে মিলেছে স্ক্রাব টাইফাস সংক্রমণ। এ ছাড়া কেউ ডেঙ্গুতে, আবার কেউ ইনফ্লুয়েঞ্জা বি ভাইরাসে আক্রান্ত। তবে যে ভাবে অজানা জ্বরের নামে অভিভাবকরা আশঙ্কায় কাঁটা হয়ে যাচ্ছেন, সেই জ্বর কিন্তু অজানা জ্বর নয়। বৃহস্পতিবার শহরের দুই  শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের মতে, আদৌ এটা অজানা জ্বর নয়। করোনাকালে টিকা দেওয়ার সমস্যা, আবহাওয়ার পরিবর্তন, বাবা-মায়ের বাহিত ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস শিশুদের শরীরে গিয়েই তাদের সংক্রামিত করছে। সর্বোপরি আতঙ্কিত পড়ছেন অভিভাবকেরা।
আরও পড়ুন: জ্বরের মধ্যেই শিশুর শরীরে হানা ঘাতক স্ক্রাব টাইফাসের! খোঁজ মিলতেই যে পদক্ষেপ নিল রাজ্য
শহরের খ্যাতনামা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সংযুক্তা দে বলেন, 'রেসপিরেটরি প্যানেল পরীক্ষা করলেই জানা যায় ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস নাকি আরএস ভাইরাস নাকি অন্য কোনও ভাইরাসে আক্রান্ত কোনও শিশু। যদিও এই পরীক্ষা খরচসাপেক্ষ, তার ওপরে পরীক্ষা করার কোন পরিকাঠামো নেই। তাই অনেকক্ষেত্রেই বোঝা যাচ্ছেনা কী কারণে এই জ্বর। তবে বেশিরভাগ শিশুই ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং আরএস ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর যে নমুনা পাঠিয়েছিল স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন তাতে সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। উত্তরবঙ্গ থেকে যে দশটি নমুনা পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যে দুটি নমুনা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। বাকি আটটি নমুনার দুটিতে ইনফ্লুয়েঞ্জা বি ভাইরাস, দু'টিতে আরএস ভাইরাস এবং একটিতে দুই ভাইরাসের মিশ্রণ পাওয়া গিয়েছে।'
advertisement
আরও পড়ুন: ঝড়ের বেগে জ্বরে কাবু শিশুরা! অবশেষে সামনে এল কারণ, মোকাবিলায় যে ব্যবস্থা...
তিনি আরও বলে, 'শিশুদের অভিভাবকদের এইতা ভয় পেয়ে যাওয়ার কারণ নেই একেবারেই। ফ্লু ধরা পড়লে খুব সাধারণ একটি ওষুধ আছে, সেটা দিলেই শিশু দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। আরএস ভাইরাস ধরা পরলে উপসর্গ ভিত্তিক চিকিৎসা করলেই শিশু সুস্থ হয়ে ওঠে। স্ক্রাব টাইফাস খুব অল্প কয়েকজন শিশুর ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত। কারণ এই পোকা গণহারে কামড়াতে পারে না এবং তা আদৌ ছোঁয়াচে নয়। তাই স্ক্রাব টাইফাস এ আক্রান্ত অল্প কয়েকজন শিশু হতে পারে। কিন্তু এগুলো যদি না ধরা পড়ে তখনই বিপত্তি হয়। সম্ভবত উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে সেই প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।'
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: ভাইরাল ফিভারের উৎস সন্ধানে বিশেষজ্ঞরা, উত্তরবঙ্গে শিশু শরীরে ডেঙ্গির জীবাণুতে বাড়ছে চিন্তা...
চিকিৎসক সংযুক্তা দে'র মতে, এই জ্বরের মূল কারণ শিশুদের বেসিক ইমুনাইজেশন বা রুটিন টিকাকরণগুলি গত দেড় বছর ধরে ব্যাহত হয়েছে। সরকারি ক্ষেত্রে ফ্লু ভাইরাস দেওয়া হয় না। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে পুজোর আগে এই সময় প্রতি বছরই ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং আরএস ভাইরাসে আক্রান্ত হয় শিশুরা। তবে ফ্লু ভ্যাকসিন দেওয়া থাকলে সেই সংখ্যা অনেকটাই কমে যায়। কিন্তু আমাদের এখানে বেশিরভাগ শিশুই এই ফ্লু ভ্যাক্সিন পায় না।
advertisement
আরও পড়ুন: শিশুদের ভাইরাল ফিভারে কাবু শিলিগুড়িও, তৃতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে যোগ নেই, আশ্বাস চিকিৎসকদের
শিশু আইসিইউ বিশেষজ্ঞ বিচিত্র ভানু সরকারের মতে, 'করোনার জেরে গত দেড় বছর ধরে শিশুরা গৃহবন্দি। বাইরে না বেরোনোর তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কমে গিয়েছে। হঠাৎ করেই লকডাউন শিথিল হওয়ায় শিশুরা বাইরে বেরোচ্ছে, তাকে দ্রুত আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে। তার সঙ্গে বাড়ির প্রাপ্তবয়স্করা অনেকটাই অসচেতন, তারা বাইরে থেকে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং আরএস ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং ঘরে এসে সেটা শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছেন অজান্তেই।'
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্যজুড়ে জ্বরের আতঙ্ক! রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে দু'দিনে ভর্তি ১৫ শিশু, কী বলছে হাসপাতাল?
শিশুদের জ্বরের প্রসঙ্গে এ দিন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ন স্বরূপ নিগম জানান, এই জ্বর নিয়ে কোনও আতঙ্কের কারণ নেই। মূলত ইনফ্লুয়েঞ্জা বি এবং আরএস ভাইরাসে আক্রান্ত বেশির ভাগ শিশু। যারা মারা গিয়েছে, তাদের অন্যান্য শারীরিক জটিল সমস্যা ছিল। ইনফ্লুয়েঞ্জা যেহেতু ছোঁয়াচে রোগ। ফলে সব হাসপাতালকেই পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ড বা শিশু বিভাগের বেডের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে আজ ২০ নতুন বেড বাড়ানো হয়েছে।
advertisement
Avijit Chanda
view comments
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
Child Fever| Bangla News|| রাজ্যে শিশুদের ভাইরাল ফিভার আদৌ 'অজানা জ্বর' নয়, সাফ জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement