অন্ধকারে অন্তিম যাত্রা! বাইকের হেডলাইটে শবদেহ দাহ! শ্মশানে নেই জল, আলো, কেন এমন অদ্ভুতুড়ে পরিবেশ জানেন?

Last Updated:

Balurghat Crematorium: শ্মশানে নেই পর্যাপ্ত আলো কিংবা জলের ব্যবস্থা। দিনের বেলা তেমন কোনও সমস্যা না হলেও রাতের অন্ধকারে মৃতদেহ সৎকার করতে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাইকের আলো জ্বালিয়ে করতে হচ্ছে শবদেহ দাহ।

+
সাত

সাত বছরেও চুল্লির কাজ শেষ হয়নি

দক্ষিণ দিনাজপুর, সুস্মিতা গোস্বামী: শবদেহ দাহ করার জন্য যে চুল্লি তৈরি করা হয়েছে সেই চুল্লির একপ্রকার সমাধি ঘটেছে। প্রায় সাত বছর আগে বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষদের সুবিধার্থে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের বোয়ালদা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশিয়াডাঙ্গা খারির পাশে সরকারি জমিতেই সেই চুল্লি তৈরি করা হয়। কিন্তু সাত বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সেই চুল্লির জন্য পর্যাপ্ত আলো কিংবা জলের ব্যবস্থা আজও হয়নি। এর ফলে দিনের বেলা তেমন কোনও সমস্যা না হলেও রাতের অন্ধকারে মৃতদেহ সৎকার করতে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থার জন্য জেনারেটর পর্যন্ত ভাড়া করতে হয়। এমনকি কোনও পরিবার জেনারেটর ভাড়া যদি না করতে পারে তাহলে তাদের মোটর বাইকের হেডলাইটের আলো জ্বালিয়ে সৎকারের কাজ করতে হয়।
আরও পড়ুনঃ ধানক্ষেতে বিবস্ত্র অবস্থায়…! কাছে যেতেই চোখ কপালে, ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছতেই বিক্ষোভ, ঠিক কী ঘটেছে দেগঙ্গায়?
সূত্রের খবর, ২০১৭-১৮ সালে পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে একটি চুল্লি নির্মাণ করা হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের সুবিধার্থে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোট আসে ভোট যায়, নেতারা শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়। কিন্তু সেই কাজ হয় না। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষ অস্থায়ীভাবে চুল্লি তৈরি করে খারির ধারে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় মৃতদেহ সৎকার করে আসছে। এরপরেই পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে চুল্লি তৈরি করে দেওয়া হয়।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ যুবকের বাড়ি থেকে মহিলার র*ক্তাক্ত দেহ উদ্ধার! অবৈবাহিক একত্রবাসের নির্মম পরিণতি, ডানকুনিতে চাঞ্চল্য
ঝা-চকচকে চুল্লির উপরে দেওয়া হয় টিনের সেট কিন্তু বিদ্যুৎ বা জলের ব্যবস্থা হয়নি। এরই মাঝে বনদফতর ওই চুল্লি চালু করতে বাঁধা দেয়। তাদের দাবি ছিল, এই জমি বনদফতরের এবং বনদফতরকে না জানিয়ে এ ধরনের কোন কাঠামো তৈরি করা যায় না। বনদফতরের বাঁধা দেওয়ার পর চুল্লি তৈরি হলেও তা উদ্বোধন করা যায়নি এখনও পর্যন্ত।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গ্রামের মানুষকে ঝড়, জল, বৃষ্টিতে খারির পাশেই অস্থায়ী চুল্লি বানিয়ে মৃতদেহ সৎকার করতে হয়। একাধিকবার বিভিন্ন জায়গায় তদবির হয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। এই চুল্লি চালু হলে আসইর, নারায়নপুর, শীবরামবাটী, ভারান্ডা, রায়ধারা, ভাইরাম পাড়া, ধরাইল, রাজুয়ার-সহ প্রায় ১০-১২টি গ্রামের সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দ্রুত এই চুল্লি উদ্বোধন করে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে সমর্পণ করা হোক। শুধু তাই নয়, এখানে জল-সহ বিদ্যুৎ এবং মাথার উপরের সেড ইত্যাদিরও দ্রুত প্রয়োজন। এইগুলি মিটিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
অন্ধকারে অন্তিম যাত্রা! বাইকের হেডলাইটে শবদেহ দাহ! শ্মশানে নেই জল, আলো, কেন এমন অদ্ভুতুড়ে পরিবেশ জানেন?
Next Article
advertisement
Jemimah Rodrigues: ‘এই সফরে আমি প্রায় প্রতিদিনই কেঁদেছি, স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে...!’ ফাইনালে উঠে আবেগ্রপ্রবণ জেমাইমা
‘এই সফরে আমি প্রায় প্রতিদিনই কেঁদেছি, স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে...!’: জেমাইমা
  • ‘এই সফরে আমি প্রায় প্রতিদিনই কেঁদেছি’

  • স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে...

  • অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পর আবেগপ্রবণ জেমাইমা

VIEW MORE
advertisement
advertisement