বাঁশ আর হাতের কারুকার্য, দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয়! ঘরে বসে উপার্জনের নয়া দিশা দেখাচ্ছেন হস্তশিল্পীরা
- Published by:Sneha Paul
- hyperlocal
- Reported by:Jiam Momin
Last Updated:
ভিনরাজ্যে আর কাজে যেতে হচ্ছে না, গ্রামে বসেই এই কাজ করে দিনে ৫০০-১০০০ টাকা রোজগার হচ্ছে
মালদহ, জিএম মোমিনঃ আগে ছিলেন নির্মাণ শ্রমিক, এখন এই কাজ শিখে হয়েছেন হস্তশিল্পী। বর্তমানে আর ভিনরাজ্যে কাজে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। গ্রামেই আয়ের বিকল্প পথ খুঁজে নিয়েছেন তাঁরা। মালদহের এই গ্রামে অধিকাংশ বাড়ির পুরুষেরা সারা বছর তৈরি করেন বাঁশের ঝুড়ি। এগুলি তৈরি করেই জীবিকা নির্বাহ হয় গ্রামের শতাধিক পরিবারের। এই কাজ করে দিনে প্রায় ৫০০-১০০০ টাকা রোজগার করে আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন এই হস্তশিল্পীরা।
মালদহের মানিকচক ব্লকের মথুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শেখপুরা গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই বাঁশের ঝুড়ি তৈরি হয়। নিজেরাই বাঁশ কেটে এনে হাতের কারুকার্যে তৈরি করেন এই ঝুড়ি। পাইকারদের অর্ডারের পাশাপাশি সাপ্তাহিক হাটে নিজেরাই সেগুলি বিক্রি করেন। সারা বছরই এই কাজ করে পরিবারের হাল ধরছেন এই হস্তশিল্পীরা।
আরও পড়ুনঃ পুজোর মুখে ভেঙে পড়ল বাড়ি! অসহায় পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস তৃণমূল কাউন্সিলরের
এক হস্তশিল্পী শেখ ফারুক জানান, ‘এই গ্রামে আগে অনেকে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে ভিনরাজ্যে এবং শহরে যেতেন। তবে ভিনরাজ্যে কাজের ঝুঁকির ভয়ে সকলে এই কাজ শিখেছেন। গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। সারা বছর চাহিদা থাকলেও আমের মরশুমে এই ঝুড়ির চাহিদা বেশি থাকে। অর্ডারের পাশাপাশি প্রতি সপ্তাহে হাটে গিয়ে বিক্রি করি। এই কাজ শেখার পর ভিনরাজ্যে যেতে হচ্ছে না। বাড়িতেই রোজগার হয়, ভাল লাগছে’।
advertisement
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জেলায় তেমন কাজ না থাকায় আজও অধিকাংশ খেটে খাওয়া শ্রমিক ভিনরাজ্যে পাড়ি দেন। কেউ টাওয়ারের কাজে, কেউ আবার নির্মাণ কাজে যান অন্য রাজ্যে। এই অবস্থায় বাড়ি বসেই বিকল্প পথে রোজগারের দিশা দেখাচ্ছেন মালদহের এই গ্রামের বাসিন্দারা।
Location :
Kolkata [Calcutta],Kolkata,West Bengal
First Published :
September 09, 2025 10:26 AM IST