সেবক দেবশর্মা, মালদহ: চলন্ত বাসেই মোবাইল ফোন বেজে ওঠে গাড়ি চালকের। ‘জরুরী’ ফোন থাকায় ধরেও নেন তিনি। গাড়ি দাঁড় না করিয়ে শুরু হয় ফোন হাতে কথাবার্তা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন সে সময় বাস চালকের একহাতে গাড়ির স্টিয়ারিং আর অন্যহাতে কানে ধরা মোবাইল ফোন। যথেষ্টই দ্রুত গতিতে চলছিল বেসরকারি বাস। যাত্রীরা কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিপত্তি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গাছে ধাক্কা মারে বেসরকারি বাসটি।
মালদহ-নালাগোলা রাজ্য সড়কে দুর্ঘটনা। আহত অন্তত ১০ বাসযাত্রী।নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় ডান পাশে থাকা একটি গাছে ধাক্কা মারে দ্রুতগতির বাস। মালদহের হবিবপুর থানার কেন্দপুকুর এলাকার কুলডাঙার ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দুর্ঘটনার সময় বাসটি একেবারে রাস্তার বাম ধার থেকে ডান ধারে চলে আসে। রাস্তার পাশে গাছ না থাকলে আরও বড় কোনও দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। দুর্ঘটনায় আহতদের বেশিরভাগেরই আঘাত তেমন আশঙ্কাজনক নয়। তবে অনেকেরই রক্তপাত এবং চোট আঘাতের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন- ওপার বাংলার স্বাদ এপার বাংলায়! ঢাকাই কষা মাংসের রেসিপি ভাগ করে নিল শহরের পাঁচতারা হোটেল
দুর্ঘটনার পরেই গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত বাস চালক। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় হবিবপুর থানার পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের চেষ্টায় আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে, বেসরকারি বাসটি মালদহ থেকে নালাগোলা যাচ্ছিল। বাস যাত্রীদের একাংশ বলেন, মালদহ-নালাগোলা রুটে বাসের সংখ্যা অন্য রুটের তুলনায় অনেকটাই বেশি। ফলে বেশিরভাগ গাড়ি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে চলে। শুধু তাই নয়, সময়ে গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য বাস চালকদের মধ্যে রীতিমতো রেষারেষি চলে।
এই অবস্থায় গাড়ি থামিয়ে ফোনে কথা না বলে চলন্ত গাড়িতেই ফোনে কথা বলা শুরু করেন বাস চালক। এতেই ঘটে দুর্ঘটনা। এদিনের দুর্ঘটনায় পুলিশের নজরদারি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, মোবাইল ফোন হাতে গাড়ি না চালানোর জন্য বারবারই সতর্ক করা হয়েছে গাড়িচালকদের। এনিয়ে সচেতনতা শিবিরও করা হয়েছে। এরপরেও বাস চালকদের একাংশ অসাবধানতাবশত এমন কাণ্ড ঘটাচ্ছেন। এদিনের দুর্ঘটনায় ঠিক কী ঘটেছিল তা নিয়ে বাস চালকের সঙ্গেও কথা বলবে পুলিশ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Malda, Malda News