Local News: ১৪ বছর আগে অবসর, এখনও রোজ সকালে স্কুলে ছুটে যান অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক

Last Updated:

মৃণালবাবু ২০১০ সাল পর্যন্ত ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। অবসর নেওয়ার পরেও একইভাবে শিক্ষাদান করে যাচ্ছেন তিনি

+
মৃনাল

মৃনাল বাবুর ক্লাস

দক্ষিণ দিনাজপুর: বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসাবে অবসর নিয়েছেন বছর চোদ্দো আগে। তবে এখনও সকালে সাড়ে দশটা বাজলেই স্কুলে হাজির হয়ে যান। দুপুর গড়িয়ে চলে ছাত্রছাত্রীদের লক্ষ্যে এগোনোর কাজ। তবে এর জন্য আলাদা কোনও পারিশ্রমিক পান না তিনি। এভাবেই শিক্ষাদানে ব্রতী দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার দুর্লভপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মৃনাল চক্রবর্তী।
তিনি অবশ্য পারিশ্রমিকের আশাও করেন না। তাঁর কথায়, ছেলেমেয়েগুলো আমার অক্সিজেন। ওরা মানুষ হলেই আমার শ্রম সার্থক।’ তিনি বালুরঘাটের বিশিষ্ট কবি’ও। ৭৫ বছর বয়স পেরোলেও এখনও নিয়মিত স্কুলে গিয়ে শিশুদের পড়ান মৃণালবাবু। একসময় নিজে হাতে গ্রামেই পৈতৃক জমিতে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই থেকে এখনও বালুরঘাটের দুর্লভপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়াচ্ছেন। শিক্ষার জন্য নানা কাজ করে চলেছেন। স্কুল চত্বরেই নিজের হাতে রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ ও বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তি গড়েছেন।
advertisement
advertisement
মৃণালবাবু বলেন, ওই স্কুলটাই আমার প্রাণ। ওই স্কুলের জন্যই সবকিছুই ছেড়েছি। আমি এখনও ওই স্কুলে সপ্তাহে অন্তত চারদিন যাই। শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাই। মাঝেমধ্যেই পড়াই। স্কুলে না গেলে আমার ভাল লাগে না। ওই স্কুলই আমার অক্সিজেন। শিশুদের কাছে পেলেই আমি আমার প্রাণ খুঁজে পাই। তাই স্কুলের খুদে ছাত্রছাত্রীদের জন্য কিছু করতে পারলে আমার খুব ভাল লাগে।
advertisement
এমনকি স্কুলের ক্লাসরুমের দেওয়ালে শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে কোন ক্লাসে স্বরচিহ্ন, কোন ক্লাসে বিবর্তনের চিত্র। এমনকি ছড়া লিখে একেবারে শিশুদের উপযোগী করে তুলেছেন। স্কুলে ভয়ের পরিবেশ কাটাতে স্কুলের প্রাচীরের দেওয়ালে, ক্লাসরুমের দেওয়ালে নানা রঙের ছবি আঁকেন। ছড়া, সহ পঠনপাঠনের নানা ছবি নিজে হাতে আঁকেন। শুধু তাই নয়, ছোটবেলা থেকেই মূর্তি গড়ার কাজও তিনি পারতেন। তাই নিজের স্কুলেই প্রথমে নিজের হাতেই কংক্রিটের রবীন্দ্রনাথের আবক্ষ মূর্তি গড়েন।
advertisement
এই বিষয়ে বালুরঘাট ব্লকের বোয়ালদার গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্লভপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মানস মীর বলেন, মৃণালবাবুর দেখানো আদর্শেই আমরা স্কুল চালাচ্ছি। তিনি এখনও স্কুলে আসেন। আমাদের পথ দেখান। উনিই আমাদের অভিভাবক।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
একসময় দুর্লভতম গ্রাম অত্যন্ত দুর্গম জায়গা ছিল। সেখানে শিক্ষার আলো পৌঁছাত না। ফলে গ্রামে শিক্ষার অন্ধকার দূর করতে মৃণাল চক্রবর্তী সহ আরও তিনজন স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। মৃণালবাবুর পৈতৃক জমিতেই গড়ে তোলা হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেই থেকেই স্কুলেই পড়াতেন মৃণালবাবু। গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশুদের এনে জোর করে স্কুলে পাঠ দিতেন। পরবর্তীতে অবশ্য সরকারি অনুমোদন দেওয়া হয় ওই স্কুলকে। মৃণালবাবুই ২০১০ সাল পর্যন্ত ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। অবসর নেওয়ার পরেও একইভাবে শিক্ষাদান করে যাচ্ছেন তিনি। বিবেকানন্দ ও বিদ্যাসাগরের মূর্তি গড়ে তুলেছেন। প্রতিটি ক্লাসরুমকে তিনি আলাদা আলাদা ভাবে গড়ে তুলেছেন। বিশেষ রুপ দিয়েছেন স্কুলকে। স্কুল না, যেন এক একটি শিশু উদ্যান। শুধু শিক্ষা জগতেই নয়, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতেও জেলার বুকে অন্যতম জায়গায় করে নিয়েছেন মৃণালবাবু। কবি চক্রবর্তী ছদ্মনামেও তিনি বহু উপন্যাস লিখেছেন।
advertisement
সুস্মিতা গোস্বামী
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
Local News: ১৪ বছর আগে অবসর, এখনও রোজ সকালে স্কুলে ছুটে যান অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement