Malda News: ওপার বাংলার গ্রামের নামে মিষ্টি! কী ভাবে তৈরি করবেন সুস্বাদু কনসাট, রইল রেসিপি

Last Updated:

Malda News: অন্য সব মিষ্টির থেকে কনসাট খেতে সম্পূর্ণ আলাদা। বাংলাদেশের গ্রামের নামের এই মিষ্টির এখন এপার বাংলাতেও ব্যাপক চাহিদা।

+
কানসাট 

কানসাট 

মালদহ: বাংলাদেশের গ্রামের নামে মিষ্টি। তবে এই মিষ্টির চাহিদা পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলায়। জেলার প্রতিটি প্রান্তে পাওয়া যায় এই মিষ্টি। অবিভক্ত বাংলার কানসাট গ্রামে এই মিষ্টির সৃষ্টি হয়েছিল। মিষ্টির স্বাদ, আকার অনান্য মিষ্টির থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তাই প্রথম থেকেই এই মিষ্টির সুনাম ছড়াতে থাকে। গ্রামের নাম অনুসারে এই মিষ্টির নাম হয় কানসাট। দেশভাগের পর কানসাট গ্রাম বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু সেই সময় ওই গ্রামের বেশ কয়েক জন মিষ্টি ব্যবসায়ী মালদহে চলে আসেন। তাঁরা মালদহে এসে মিষ্টির ব্যবসা শুরু করেন। এপারে এসেও তৈরি করেন কানসাট মিষ্টি।
অন্যান্য মিষ্টির থেকে কনসাট খেতে সম্পূর্ণ আলাদা। ধীরে ধীরে মালদহেও কানসাটের চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে। বাংলাদেশের গ্রামের নামের এই মিষ্টির এখন এপার বাংলাতেও ব্যাপক চাহিদা। মিষ্টি বিক্রেতা বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, “আমার ঠাকুরদা প্রায় ৬৫ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে মালদহে আসেন। তিনি বাংলাদেশের কনসাট গ্রামে মিষ্টি তৈরি করতেন। এখানে এসেও মিষ্টির দোকান করেন। আমাদের দোকানে এখনো কনসাট পাওয়া যাচ্ছে। এই মিষ্টি বর্তমানে মালদহের বিখ্যাত। তবে বাংলাদেশের গ্রামের নামই এই মিষ্টির নাম কনসাট।”
advertisement
সময়ের সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে বিভিন্ন সামগ্রীর দাম। তাই বাধ্য হয়ে বিক্রেতাদেরও এখন কানসাট মিষ্টির দাম বৃদ্ধি করতে হয়েছে। বর্তমানে মালদহ শহরের বাজারে ১৫ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি হয় এই মিষ্টি। কোনও কোনও দোকানে ১০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টির আকারের উপর নির্ভর করে দাম। শুধু মালদহ জেলাতেই সীমাবদ্ধ নেই এই মিষ্টি য বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা. এমনকি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই মিষ্টি যায় মালদহ থেকে। এখনও মালদহ শহরে পুরনো কয়েকটি দোকান রয়েছে। যে সমস্ত দোকানগুলিতে ভাল মানের কনসাট পাওয়া যায়। মিষ্টির কারিগর গৌড় দাস বলেন, “ছানা ময়দা দিয়েই তৈরি হয় মিষ্টি। মিষ্টি তৈরি হয়ে গেলে প্রায় ২৪ ঘণ্টায় ঠান্ডা করা হয় তারপর মিষ্টির ওপর ক্ষীরের প্রলেপ দেওয়া হয়। এই ভাবেই কানসাট তৈরি করা হয়।”
advertisement
advertisement
কী ভাবে তৈরি হয় এই মিষ্টি? অন্যান্য মিষ্টির মতোই ছানা এবং ময়দা দিয়ে তৈরি করা হয় মিষ্টি। তারপর চিনির রসের মধ্যে ফোটানো হয়। মিষ্টি তৈরি হয়ে গেলে ২৪ ঘণ্টা ঠান্ডা করার জন্য সেই রসের মধ্যে ডুবিয়ে রাখা হয়। তারপর মিষ্টি তুলে নেওয়া হয়। ওই ঠান্ডা মিষ্টির উপর ক্ষীরের প্রলেপ দেওয়া হয়। এই ভাবেই তৈরি হয় কানসাট।
advertisement
বর্তমানে মালদহে তৈরি কনসাট ও বাংলাদেশের তৈরি কনসাটের মধ্যে স্বাদে ফারাক রয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি কনসাট বেশি মিষ্টি। তুলনায় মালদহে তৈরি কানসাট মিষ্টি একটু কম। এই কারণে মালদহে তৈরি কনসাটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি বর্তমানে।
হরষিত সিংহ
view comments
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
Malda News: ওপার বাংলার গ্রামের নামে মিষ্টি! কী ভাবে তৈরি করবেন সুস্বাদু কনসাট, রইল রেসিপি
Next Article
advertisement
রবিবার সকাল ৬টা থেকে বন্ধ দ্বিতীয় হুগলি সেতু! ক'টা অবধি? যাতায়াতের বিকল্প রুট জানুন
রবিবার সকাল ৬টা থেকে বন্ধ দ্বিতীয় হুগলি সেতু! ক'টা অবধি? যাতায়াতের বিকল্প রুট জানুন
  • রবিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে যান চলাচল বন্ধ থাকবে.

  • এই সময়ে যানবাহনের বিকল্প রুট হিসেবে হাওড়া সেতু ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে.

  • সেতুর সাসপেনশন কেবল, রোড সারফেস ও লাইটিং সিস্টেমের পরিদর্শন ও সংস্কার কাজ চলবে.

VIEW MORE
advertisement
advertisement