#জলপাইগুড়ি: ফের ভাঙন বিজেপি-তে। বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখা বিজেপি (Bengal Bjp) পর্যুদস্ত হয়েছে বিধানসভা নির্বাচনেই। তারপর থেকে প্রত্যেকটি উপনির্বাচন এবং সাম্প্রতিক কলকাতা পুরভোট- বিজেপি কার্যত ধূলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দলে ভাঙন আটকানোই এখন গেরুয়া শিবিরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু প্রায় নিত্যদিনই কোথাও না কোথাও বিজেপি ভাঙছে, আর 'গড়ে' উঠছে তৃণমূল। এবার দলবদলের সাক্ষী বিজেপির তুলনামূলক শক্ত গড় বলে পরিচিত জলপাইগুড়িতে। পুরসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ছাড়লেন দলের জলপাইগুড়ি জেলা সহ সভাপতি ধরতি মোহন রায়। পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলেন তিনি।
ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, দু’দফায় রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলির নির্বাচন করতে চায় তাঁরা। সুতরাং দ্রুতই রাজ্যে ফের ভোট হতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে জলপাইগুড়ি বিজেপিতে ভাঙন গেরুয়া শিবিরের কাছে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াল।
আরও পড়ুন: 'আরও পাঁচটি গেল মনে হচ্ছে', BJP-কে বিঁধে বিস্ফোরক বাবুল সুপ্রিয়! গেরুয়া শিবিরে ঝড়
রবিবার তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি মহুয়া গোপের উপস্থিতিতে ধরতিমোহন রায় ফিরে এলেন তৃণমূল। যদিও একদা তিনি তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ছিলেন। কিন্তু একুশের নির্বাচনে বিজেপি-র হয়ে টিকিট পাননি তিনি। যদিও দলবদলের কারণ হিসেবে ধরতি মোহন রায়ের দাবি, বিজেপিতে কোনও কাজ হচ্ছিল না। নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছিল তাঁকে।
আরও পড়ুন: 'সর্ষের মধ্যেই ভূত', BJP নেতৃত্বের কাছে হারের 'গুরুতর' কারণ জানিয়ে গেলেন প্রার্থীরা!
তাঁর কথায়, ''তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলাম মানুষের জন্য কাজ করব বলেই। কিন্তু বিজেপিতে কিছুই কাজ করতে পারছি না। আমাকে গুরুত্বহীন করে রাখা হয়েছিল। তৃণমূল ছাড়লেও দলের সকলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিলই। তাই পুরনো দলেই ফিরে এলাম।'' যদিও বিজেপি নেতা অলোক চক্রবর্তীর পাল্টা অভিযোগ, ''ধরতিমোহন বাবুকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই পদে বসানো হয়েছিল। কিন্তু দল তাঁকে বিধানসভার প্রার্থী হিসেবে টিকিট দেয়নি। এভাবে টিকিট দেওয়াও হয় না। তাই টিকিট না পেয়েই তিনি ফের দল ছাড়লেন।''
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bengal BJP, Jalpaiguri, TMC