#কলকাতা: রাজ্য বিজেপি-র অন্দরে ক্ষোভ (Bengal BJP) বেড়েই চলেছে। একের পর এক নেতার দলত্যাগ, বিধানসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে একের পর এক নির্বাচনে খড়কুটোর মতো উড়ে যাওয়ার মধ্যে এবার বিজেপি বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার ঘটনা সামনে আসতেই ফের শোরগোল পড়েছে। আর সুযোগ বুঝে তা নিয়েই কটাক্ষের বাণ ছুড়ে দিয়েছেন বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)।
সদ্য নতুন করে গঠিত হয়েছে বিজেপি-র রাজ্য কমিটি। আর সেই কমিটিতেই মতুয়াদের প্রতিনিধিত্ব না থাকার অভিযোগ তুলে বিজেপি বিধায়কদের অফিশিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ 'লেফট' করেছেন বিধায়ক অসীম সরকার, অম্বিকা রায়, সুব্রত ঠাকুর, মুকুটমণি অধিকারী এবং অশোক কীর্তনিয়া। আর বড়দিনে এই ঘটনা নিয়েই আলোড়ন পড়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।
'নিজগুনে' পরের পর উইকেট পড়ছে বিজেপির | ''আজ আরও পাঁচটি গেলো মনে হচ্ছে | শিববাবু শুনলাম সব শুনে কৈলাশে গেছেন | আসল বাঙালি কাঁকড়াদের খুঁজিয়া পাইবার একমাত্র নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্টান - মুরলীধর লেন |
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) December 25, 2021
'লেফট' করে যাওয়া বিধায়করা এখনও নিজেদের ক্ষোভের কারণ প্রকাশ্যে না আনলেও বিজেপি-র অন্দরে ঝড় তাতে থামছে না। আর এই পরিস্থিতিতেই পুরনো দলের নেতৃত্বকে তীব্র আক্রমণ করে বসলেন বাবুল সুপ্রিয়। ট্যুইটারে বাবুল লিখেছেন, '''নিজগুনে' পরের পর উইকেট পড়ছে বিজেপির | ''আজ আরও পাঁচটি গেলো মনে হচ্ছে | শিববাবু শুনলাম সব শুনে কৈলাশে গেছেন | আসল বাঙালি কাঁকড়াদের খুঁজিয়া পাইবার একমাত্র নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্টান - মুরলীধর লেন।'' (বানান অপরিবর্তীত)
আরও পড়ুন: বড়দিনের সকালে সেন্ট পলস ক্যাথিড্রালে মারাত্মক ঘটনা, দাউদাউ আগুন তরুণীর চুলে!
বিধানসভায় বিজেপির পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। যদিও তিনি জানিয়েছেন, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ-ত্যাগী বিধায়কদের মধ্যে অশোক কীর্তনীয়া ও সুব্রত ঠাকুরের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। মনোজের দাবি, পরিষদীয় স্তরে এ নিয়ে কথা হবে। রাজ্যস্তরেও আলোচনা হতে পারে। তাঁর আরও দাবি, ভুল বোঝাবুঝিতেই এমন হয়েছে। বিধায়করাও ভুল বুঝতে পেরেছেন।
আরও পড়ুন: হঠাৎ করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন বিজেপি-র পাঁচ বিধায়ক! কারণ কী?
২০১৯ ও ২০২১-এর নির্বাচনে মতুয়া ভোট বিজেপিকে বনগাঁ উত্তর, দক্ষিন-সহ প্রায় ৭ টি কেন্দ্রে জিততে সাহায্য করেছে। তার পরেও, রাজ্য কমিটিতে তাদের প্রতিনিধিত্ব না থাকাটা দূর্ভাগ্যজনক বলে মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির একটা বড় অংশই। শোনা গিয়েছে, দিল্লিতে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলতে চেয়েছেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তবে, তাতে যে বিজেপি-র অন্দরে ক্ষোভের আগুন কমছে না, তা একপ্রকার স্পষ্ট। এই পরিস্থিতিতে বাবুল সুপ্রিয়র ট্যুইটকে আগুনে ঘি ঢালার সমান বলে মনে করছেন অনেকে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Babul supriyo, Bengal BJP