#শিলিগুড়ি: নেপালের আমা ডাবলাম। আমা মানে মা আর ডাবলাম মানে শেরপাদের নেকলেস। অর্থাৎ মায়ের নেকলেস। দূর থেকে শৃঙ্গটা দেখতে অনেকটা নেকলেসকে আকড়ে ধরে রেখেছে মা এমনই মনে হবে। ২২ হাজার ৬০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। বিশ্বের সেরা পর্বত শৃঙ্গগুলির মধ্যে অন্যতম। এই শৃঙ্গ জয়ের লক্ষ্যেই আজ শিলিগুড়ি থেকে রওনা হলেন চার বাঙালি পর্বাতোরোহী।
এই প্রথম কোনো বাঙালি আমা ডাবলাম শৃঙ্গ জয়ের পথে। এভারেস্ট জয়ী দেবাশীষ বিশ্বাস, সত্যরূপ সিদ্ধান্তদের সঙ্গে যাচ্ছে কিরন পাত্র এবং মলয় মুখোপাধ্যায়। ঠিক ছিল এপ্রিল অথবা মে মাসে যাবেন। কিন্তু করোনা সব পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছিল। ঘরবন্দী মানুষ। লকডাউনে স্তব্ধ হয়ে পড়ে দেশ। তারপর আনলক হতেই সাইক্লিংয়ে চারজনে শরীর চর্চার ফাঁকে ফের আলোচনা হয় শৃঙ্গ জয়ের প্ল্যানিং নিয়ে। সেইমতো কথা বলেন নেপালের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। নেপালও বন্ধ থাকে। নেপাল থেকে সবুজ সংকেত আসতেই অবশেষে শৃঙ্গ জয়ের জন্যে প্যাকিং শুরু। করোনা, লকডাউনে স্পনসরশিপ জোগাড় করতে হিমসিম খেতে হয়। কিছুটা মিলেছে। বাকিটা পরিচিতদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে শিখর জয়ের স্বপ্ন নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে পড়া। নিউ নর্মালে নয়া চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত চার বাঙালি পর্বাতোরোহী।
সোমবার সকালে এসে পৌঁছন শিলিগুড়িতে। হিমালয়ান নেচার এণ্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন বা ন্যাফের পক্ষ থেকে তাদের শুভেচ্ছা জানানো হয়। শৃঙ্গ জয়ের স্বপ্ন সফল হবে এই শুভেচ্ছাও জানানো হয় তাদের। তারপর গাড়ি করে শিলিগুড়ি থেকে সড়ক পথে নেপালের কাঠমণ্ডু। সেখানে দিন পাঁচেক কোয়ারেন্টাইন। তারপর শৃঙ্গ জয়ের পথে রওনা।
একে তাপমাত্রা মাইনাসে থাকবে। তবে আকাশ পরিষ্কার থাকায় তিনটে বেস ক্যাম্প পার করে ২২ হাজার ৬০০ ফুট উচ্চতার আমা ডাবলাম শৃঙ্গ জয়। সব ঠিকঠাক থাকলে ২৫ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পৌঁছনো যাবে শৃঙ্গে। সম্পূর্ণ কোভিড বিধি মেনেই নয়া চ্যালেঞ্জ জয় করতে চায় চার বাঙালী পর্বাতোরোহী। করোনার জেরে প্রায় ৩০ শতাংশ খরচ বেড়েছে। তবু লক্ষ্যে অটুট দেবাশিষ, সত্যরূপরা। ওদের শৃঙ্গ জয়ের বিষয়ে আশাবাদী ন্যাফের মুখপাত্র অনিমেষ বসু।
Partha Sarkar
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।