#শিলিগুড়ি: খেলবো হোলি রঙ দেব না। তাই কখনও হয়! হ্যাঁ, হয়। এবং এমনটাই আজ হল শিলিগুড়িতে। বসন্ত উৎসব পালিত হল। অথচ দেখা নেই লাল, নীল, সবুজ, হলুদ, গোলাপী আবিরের। রঙীন নয়, রঙহীন মুখের ছবিই দেখলো শিলিগুড়ি। সৌজন্যে করোনা ভাইরাস।
শিলিগুড়ির সূর্যসেন পার্কে ইচ্ছে রাঙার বসন্ত উৎসবে সবই হল। শুধু ছিল না রঙের দেখা। করোনার জেরে শহরে একাধিক বসন্ত উৎসব বাতিল করা হয়েছে। মূলত সতর্ক থাকা এবং জনসমাগম এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উদ্যোক্তারা। তবে অন্যভাবে বসন্ত উৎসব পালন করল ইচ্ছে রাঙা।
"খোল দ্বার খোল....বাজলো যে দোল...."। আরও নানান গানের তালে নাচলেন নৃত্য শিল্পীরা। শহরের একাধিক নাচের স্কুলের শিল্পীরা যোগ দেন এখানে। সঙ্গে ছিল বাউলের সুর। বসন্ত উৎসব বাউল ছাড়া ফিকে। দিনভর অনাবিল আনন্দে মেতে রইলেন বসন্ত উৎসবে। এখানে রঙ ছিল না। তবে ছিল ফুল। রঙ বেরঙয়ের ফুল দিয়ে একে অপরকে সাজিয়ে তুললেন শিল্পী এবং উদ্যোক্তারা। একের পর এক বসন্ত উৎসবের অনুষ্ঠানের বাতিলের খবরে ভেঙে পড়েছিলেন শিল্পীরা। কয়েক মাসের রিহার্সাল বুঝি মাঠেই মারা যাবে, যখন এই ভাবনা চলে এসেছিল শিল্পীদের মনে।
তখন সূর্যসেন পার্কের আয়োজনে খুশী শিল্পীরা। সব আয়োজনই যে সারা হয়ে গিয়েছিল। আর তাই অনুষ্ঠান স্থগিত করেনি তারা। তবে করোনা সতর্কে আবির দূরে সরিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেন উদ্যোক্তারা। তাতে কিছুটা আক্ষেপ তো রয়েছেই শিল্পীদের মনে। কেননা বছরে এই দুটো দিনের অপেক্ষায় থাকে সকলে। একে অপরকে রাঙিয়ে তোলার অপেক্ষায়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই সব কিছু মানিয়ে নিয়েছেন। এবার না হয় রঙ মাখানো হল না। আসছে বছর সুদে আসলে মিটিয়ে নেবো। ‘ভূত সেজে বাড়ি ফিরব’, বলছেন শিল্পীরা। এক শিল্পী অঙ্কিতা হাজরা জানান, আসছে বছর যতভাবে খেলা যায়, রঙ খেলবো। এবারের না খেলাটা উসুল করে ছাড়ব।
Partha Pratim Sarkar