#আলিপুরদুয়ার: রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে বক্সা ফোর্টের অবস্থান অনেক আগে থেকেই পরিচিত। পর্যটকদের কাছে এই ঐতিহাসিক জায়গার আকর্ষণ বিশাল । কিন্তু ইতিহাস প্রসিদ্ধ সেই দূর্গ সময়ের নিয়মে ক্রমশ ধ্বংসপ্রাপ্ত হচ্ছিল। রাজ্য সরকার সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় বক্সা দূর্গকে ধ্বংস হওয়া থেকে রক্ষা করা গিয়েছে। আগামী বুধবার নবরূপে সজ্জিত সেই বক্সা ফোর্টের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আলিপুরদুয়ার জেলা সদর থেকে প্রায় ৪০ কিমি দূরে পাহাড়ের উপর অবস্থিত এই ফোর্ট পর্যটকদের কাছে ভীষণ রকম পরিচিত। কিন্তু সময়ের কারণে বক্সা জাতীয় উদ্যানের মধ্যে অবস্থিত এই ফোর্ট ক্রমশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল। জেলা প্রশাসনের কাজ থেকে রিপোর্ট পেয়েই তৎপরতা দেখায় নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর অর্থ বরাদ্দ করে। প্রায় ৪ কোটি ৮২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা খরচ করে এই ফোর্টের প্রথম পর্যায়ের সংস্কারের কাজ ও সৌন্দর্যায়নের কাজ শেষ করা হয়েছে। এই হেরিটেজ পর্যটন কেন্দ্রের কারাগার, গেট, সীমান্ত প্রাচীর ও দূর্গস্থিত বেশকিছু ব্যারাকের সংস্কারের কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।
ইতিহাস বলছে, চিন থেকে ভুটান হয়ে ভারতের উত্তর অংশের ভিতর দিয়ে পশ্চিমের দেশগুলোতে রেশম আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে এই রেশম পথকেই ব্যবহার করা হতো। এই সিল্ক রুটে সেই সময় ব্যবসায়ীদের নিরাপদে থাকার জন্য ভুটানের রাজারা তৈরি করেছিলেন এই দূর্গ। যদিও তখন একে ঠিক ফোর্ট বলা হত না। এক সময় ব্রিটিশরা এটা অধিগ্রহণ করে ও ব্রিটিশবিরোধী সবাইকে দুর্গম এই ফোর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হত। ২,৮৪৪ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত হওয়ায় এটিকে যথার্থই দূর্গ বলে মনে করা হত। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর উত্তরবঙ্গ সফরের মধ্যে বুধবার নবরূপে সজ্জিত এই ঐতিহাসিক দূর্গের উদ্বোধন করবেন। আগামী বর্ষার পরেই পর্যটন মরসুমে বক্সা ফোর্ট পর্যটকদের কাছে আরও বেশি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হবে বলেই মনে করছে জেলা প্রশাসনা ও জেলা পর্যটন দফতর।
আলিপুরদুয়ারের জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মীনা জানিয়েছেন, "ধাপে ধাপে কাজ এগচ্ছে এই ফোর্ট সংষ্কারের। আমি নিজে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। আমি ভিজিট করেছি বহুবার। আগামী কয়েকদিন পর এই ফোর্ট পর্যটকদের উত্তরবঙ্গে আসার অন্যতম স্থান হয়ে দাঁড়াবে।"
ABIR GHOSHALনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Buxa Fort