নামে কালো, দামে সোনা! এই ধান চাষ করে মালামাল হওয়ার স্বপ্ন কৃষকদের, বাড়ছে চাহিদা

Last Updated:

প্রিন্স অফ রাইস! সবচাইতে দামি চালের চাষ শুরু হয়েছে হ্যামিল্টনগঞ্জ এলাকায়। জৈব পদ্ধতিতে এই ধান চাষ হবে।

+
কালো

কালো নুনিয়া ধানের চাষ।

কালচিনি, অনন্যা দে: সম্পূর্ণ জৈব সার ব্যবহার করে চাষ হচ্ছে কালো নুনিয়া ধান। এই ধান থেকে উৎপন্ন চাল প্রিন্স অফ রাইস নামে পরিচিত। সবচাইতে দামি চালের চাষ সরকারি সহায়তায় শুরু হয়েছে হ্যামিল্টনগঞ্জ এলাকায়। আমন ধানের ক্ষতির হাত থেকে রেহাই দিতে পারে কালো নুনিয়া, এমনটাই আশা কৃষষকদের।
কালচিনি ব্লকের লতাবাড়ির বিশ্বনাথ পাড়ায় রোপণ করা হয়েছে কালো নুনিয়া ধানের চারা। আবহাওয়ার কারণে অন্যান্য ধান রোপনে দেরি হলেও, সঠিক সময়ে এই ধান রোপণ করা হয়েছে বলে দাবি কৃষি দফতরের। এই ধানের চাহিদা বেশি থাকায়, অন্যান্য ধানের ক্ষতির মুখ থেকে এই ধান বাঁচাতে পারে বলে দাবিও কৃষি দফতরের।জঙ্গল ও চা বাগান ঘেরা এই কালচিনি ব্লক কৃষিপ্রবণ এলাকা বলে পরিচিত না হলেও, প্রতিবছর এই জায়গায় বাড়ছে কালো নুনিয়া ধানের চাষ।
advertisement
আরও পড়ুন : সাজানো হয়েছে বিয়ের মণ্ডপ, আনন্দিত সকলে, দারুণ মেনু, পাত্র পাত্রী কারা জানেন
অপরদিকে, কৃষকদের এই চাষে উৎসাহিত করতে কৃষি দফতরের তরফে প্রদান করা হয়েছে চারাও। কৃষি দফতর সূত্রে খবর, গত বছর ব্লকজুড়ে যেখানে ৫ হেক্টর জমিতে এই চাষ হয়েছিল, এবছর সেই সংখ্যা বেড়ে ১০ হেক্টর জমিতে এই ধান চাষ করা হচ্ছে। অন্যদিকে লাগাতার তীব্র রোদে ইতিমধ্যেই ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে আমন ধান চাষে। কিন্তু সেই ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে পারে এই কালো নুনিয়াই, এমনটাই আশা কৃষকদের।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : জঙ্গলের রাস্তায় সাক্ষাৎ ‘যমদূতের’ দেখা! প্রাণ হাতে নিয়ে ছুট, রাতের অন্ধকারে তারপর যা হল…
কৃষক ঘনশ্যাম ছেত্রীর কথায়,”স্বাদ ও গন্ধে অতুলনীয় এই কালো নুনিয়া ধানের চাহিদা দিন দিন আরও বাড়ছে। যেখানে অন্যান্য ধানের উৎপাদন একবিঘায় ১০ থেকে ১২ মন, সেখানে এক বিঘায় কালো নুনিয়ায় উৎপাদন ৬ মন। তবে অন্যান্য ধান এক মন বিক্রি হয় ৬০০ টাকা করে, আর সেই জায়গায় কালো নুনিয়ার এক মনের দাম ২০০০ টাকা। অনেকটাই লাভজনক এই ধানের ফলন ভাল হলে ক্ষতির হাত থেকে অনেকটা রেহাই মিলবে।”
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পাশাপাশি, জৈব পদ্ধতিতে এই ধান চাষ হবে বলে কৃষি দফতর তরফে জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ার মহকুমা কৃষি আধিকারিক রজত চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “এটাই এই ধান রোপণের আদর্শ সময়, আশা করছি ফলন ভাল হবে। এছাড়া খামার বিদ্যালয়ের মাধ্যমে কৃষকদের এই চাষে প্রশিক্ষণ দিয়েছি আমরা। জৈব সারে এই কালো নুনিয়া চাষ হলে, তার মান আরও ভাল হবে এবং চাহিদাও বৃদ্ধি পাবে। কৃষকরা লাভের মুখ দেখত পান, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।”
view comments
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
নামে কালো, দামে সোনা! এই ধান চাষ করে মালামাল হওয়ার স্বপ্ন কৃষকদের, বাড়ছে চাহিদা
Next Article
advertisement
Cyclone Montha Update: উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ‘মন্থা’ ! কতটা ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা অন্ধ্রে? ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব এরাজ্যে কতটা পড়তে পারে
উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ‘মন্থা’ ! ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা অন্ধ্রে, ঘূর্ণিঝড়ের কী প্রভাব এরাজ্যে?
  • উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ‘মন্থা’ !

  • কতটা ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা অন্ধ্রে?

  • ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব এরাজ্যে কতটা পড়তে পারে

VIEW MORE
advertisement
advertisement