#দার্জিলিং: পুরভোটের আগে ফের গোর্খাল্যাণ্ড ইস্যুতে সরগরম হল পাহাড়ের রাজনীতি। দিন কয়েক আগেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সুব্রহ্ম্যনম স্বামী ট্যুইটারে লেখেন, ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে পাহাড় নিয়ে বিজেপির ইস্তেহারে যা উল্লেখ আছে তা বাস্তবায়িত করতে হবে। পৃথক গোর্খাল্যাণ্ড রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করতে হবে দার্জিলিং পার্বত্য এলাকাকে। এই ট্যুইটের পরই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিনয় তামাং দাবী করেন, ট্যুইট নিয়ে সাংসদ কেন নীরব? আজ শিলিগুড়িতে দলের নয়া কার্যালয়ের উদ্বোধনে করতে এসে দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা সরাসরি সুব্রহ্ম্যনম স্বামীকে সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁর ট্যুইটের প্রতি আস্থা রেখে তিনি বলেন, পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করাই লক্ষ্য। সেইসঙ্গে বিনয় তামাংকে আক্রমণ করতেও ছাড়েননি। তিনি বলেন, উনি মুখ্যমন্ত্রীর কথায় রাজনীতি করেন। যদি সত্যিই গোর্খাল্যাণ্ড চান তাহলে মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে বিধানসভায় বিল পাশ করিয়ে আনুন। বাকিটা আমরা দেখছি। অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব পাল্টা বলেন, দার্জিলিং পশ্চিমবঙ্গের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সুব্রহ্ম্যনম স্বামীর ট্যুইটকে গুরুত্ব দিতে নারাজ মন্ত্রী। আর রাজু বিস্তার মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শান্ত পাহাড়কে অশান্ত করতে দেওয়া হবে না। পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যাণ্ডের দাবী নতুন নয়। বহু আন্দোলন, টানা বনধ হয়েছে। সুভাষ ঘিসিংয়ের আমল থেকেই এই দাবী উঠে আসছে। কিন্তু রাজ্যের সায় না থাকায় তা বাস্তবায়িত হয়নি। পরে পৃথক রাজ্যের দাবী থেকে সরে এসে পাহাড়কে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের আওতাভুক্ত করার দাবী তোলেন। এখনও এই দাবীতে অনড় জিএনএলএফ। ঘিসিং জমানার পর বিমল গুরুং ক্ষমতায় আসেন এই গোর্খাল্যাণ্ডের জিগির তুলেই। তাঁকে পাশে বসিয়েই ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির ইস্তেহারে উল্লেখ করা হয়, ছোটো রাজ্যের পক্ষে তারাও। কিন্ত পরপর দুটি লোকসভা ভোটে এই ইস্যুকে সামনে রেখে লড়ে বৈতরনী পার হলেও আজও গোর্খাল্যাণ্ড হয়নি। এবারে সুব্রহ্ম্যনম স্বামীর ট্যুইট এবং তাঁকে দার্জিলিংয়ের সাংসদের সমর্থন ফের নতুন করে পাহাড়ে গোর্খাল্যাণ্ডের জিগির উঠল।
Partha Pratim Sarkar
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: BJP MP, Gorkhaland, Issue