পুরনো দিন আর নেই, রেশমের চাহিদা বাড়লেও এঁরা ধুঁকছেন

Last Updated:

রোজগার বেড়েছে রেশম শিল্পীদের। অন্যদিকে রেশম চাষের উপর নির্ভরশীল বাঁশের উপকরণ প্রস্তুতকারক হস্তশিল্পীদের প্রয়োজনীয়তা দিনে দিনে কমছে। চন্দ্রোকি, ডালা, ঝুড়ি, বাঁশের ট্রে ইত্যাদি বাঁশের তৈরি উপকরণ একসময় রেশম চাষে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতো। আর এই উপকরণ তৈরি করেই যথেষ্ট ভাল রোজগার করতেন হস্তশিল্পীরা। তবে বর্তমানে প্লাস্টিক জাতীয় জিনিসপত্রের ব্যবহারের ফলে চাহিদা হারিয়েছে এই উপকরণগুলি

+
বাঁশের

বাঁশের হস্তশিল্পীরা জীবিকা সঙ্কটে

মালদহ, জিএম মোমিন: রেশম শিল্পের বাজার বৃদ্ধি পেলেও চাহিদা কমেছে রেশম শিল্পে‌র সঙ্গে যুক্ত এক বিশেষ হস্তশিল্পীদের। বর্তমান আধুনিক যুগে একাধিক যান্ত্রিক পদ্ধতির দাপটে রেশম চাষে ব্যবহার কমছে বাঁশের তৈরি একাধিক জিনিসপত্রের। অথচ এক সময় গ্রামে গ্রামে ঘাই মেশিনের মাধ্যমে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চাষ হতো রেশমের। তবে আধুনিকতার দাপটে কলকারখানায় রেশম চাষের ক্ষেত্রে সহজ হয়েছে প্রক্রিয়াকরণের পদ্ধতি। যার ফলে গ্রাম্য পদ্ধতি ছেড়ে সেই কলকারখানায় রেশম চাষে আগ্রহ বাড়ছে রেশম শিল্পীদের।
এতে রোজগার বেড়েছে রেশম শিল্পীদের। অন্যদিকে রেশম চাষের উপর নির্ভরশীল বাঁশের উপকরণ প্রস্তুতকারক হস্তশিল্পীদের প্রয়োজনীয়তা দিনে দিনে কমছে। চন্দ্রোকি, ডালা, ঝুড়ি, বাঁশের ট্রে ইত্যাদি বাঁশের তৈরি উপকরণ একসময় রেশম চাষে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতো। আর এই উপকরণ তৈরি করেই যথেষ্ট ভাল রোজগার করতেন হস্তশিল্পীরা। তবে বর্তমানে প্লাস্টিক জাতীয় জিনিসপত্রের ব্যবহারের ফলে চাহিদা হারিয়েছে এই উপকরণগুলি। যার ফলে সমস্যায় পড়েছেন হস্তশিল্পীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: চা-পান দোকানের আড়ালে এ কী চলছিল! পুলিশ আসতেই সব জারিজুরি ফাঁস
এই প্রসঙ্গে এক হস্তশিল্পী বলেন, আগে এই কাজ করে আমাদের ভাল রোজগার হত। কিন্তু বর্তমানে জেলার রেশম শিল্পীরা ভিন রাজ্যের রেশমের কলকারখানায় কাজ করতে চলে যাচ্ছে। যার ফলে ক্রমশ বাঁশের তৈরি উপকরণের চাহিদা কমছে। এই কাজ করে আগের মত রোজগার হচ্ছে না। ভিন রাজ্যে কাজে যেতে না পারায় পেটের দায়ে বাড়িতে বাধ্য হয়ে এই কাজ করতে হচ্ছে।
advertisement
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই প্রসঙ্গে মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা বলেন, রেশম শিল্পীদের জন্য রাজ্য সরকারের একাধিক স্কিম রয়েছে। এই স্কিমগুলোর মাধ্যমে রেশম চাষি ও শিল্পীরা আর্থিকভাবে সুযোগ-সুবিধা পান। পাশাপাশি জেলার এই হস্তশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা করে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
পুরনো দিন আর নেই, রেশমের চাহিদা বাড়লেও এঁরা ধুঁকছেন
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement