কোচবিহার: রাজ আমলের ঐতিহ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কোচবিহার জেলা জুড়ে। শুধুমাত্র স্থাপত্যের মধ্যেই নয়, বহু পুজো পার্বণের মধ্যেও রয়েছে রাজ আমলের ছাপ। কোচবিহার জেলার সদর শহরের একেবারে কাছেই অবস্থিত রাজারহাট এলাকা। এখানে আজও করা হয় ২০০ বছরের প্রাচীন বাসন্তী পুজো। দীর্ঘ প্রাচীন আমলের রীতি-প্রথা ও ঐতিহ্য মেনে প্রতিবছর এই পুজোর আয়োজন করা হয়।
২০০ বছর আগে পারিবারিকভাবে এই পুজোর সূচনা করা হয়েছিল। তারপর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ অনেকটা সময়। তবে পুজোর নিয়ম-নীতি বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি। বংশ পরম্পরায় আজও করা হচ্ছে এই বাসন্তী পুজো।
আরও পড়ুনঃ উত্তাল সমুদ্র, বজ্রগর্ভ মেঘে ঢেকেছে আকাশ, আর কিছুক্ষণেই জেলায় তুমুল ঝড়বৃষ্টির ভ্রুকুটি
বর্তমানে পুজোর উদ্যোক্তা পরেশ শীল জানান, "প্রায় ২০০ বছর আগে রাজ আমলে পারিবারিকভাবে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন বাবার দাদু। তারপর কেটে গিয়েছে অনেকটা সময়। মাঝে পারিবারের আর্থিক অবস্থা কিছুটা খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণে কয়েক বছর বন্ধ ছিল এই পুজো। তবে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে আবার এই পুজোর সূচনা করা হয়। আগে এই পুজো পারিবারিক পুজো থাকলেও। বর্তমান সময়ে এলাকার প্রচুর মানুষ এই পুজোয় যোগদান করেন। বর্তমানে এই পুজোর সমস্ত দায়িত্বভার সামলান এলাকার মহিলারাই। এলাকার মহিলারা এবং স্থানীয় মানুষেরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগদান করেন এই পুজোর মধ্যে।"
তবে কোচবিহার জেলায় বাসন্তী পুজোর খুব একটা জাঁকজমক চোখে পড়ে না। কিন্তু, রাজ আমলের এই সমস্ত ঐতিহ্যবাহী পুজো গুলোতে প্রচুর মানুষ আনন্দে মেতে ওঠেন। তবে রাজ আমল বর্তমানে অতীত। দীর্ঘ সময়ের ঐতিহ্যবাহী এই সমস্ত পুজো কোচবিহার জেলার রাজ আমলের প্রাচীণ ঐতিহ্যকে বজায় রেখেছে। এই পুজোর প্রায় ১৫ দিন আগে থেকেই এলাকার মানুষেরা পুজোর তোরজোড় শুরু করে দেন। এবং পুজোর চার দিন এলাকার মানুষেরা বাড়ি ঘর ভুলে গিয়ে পুজোর কাজে মেতে থাকেন। এই পুজোর ঠাকুর হয় একচালা। এবং পুজোর অষ্টমীতে ভোগের আয়োজন করা হয়।
Sarthak Pandit
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Basanti Puja 2023, Coochbehar