#শিলিগুড়ি: বসন্ত এসে গেছে। বসন্ত এসে গেছে। চারদিকে কোকিলের কুহু কুহু রব। ধূলো মেশানো ঝড়। আর বসন্ত মানেই রঙীন আবিরে নিজেদের রাঙিয়ে নেওয়া। যে আবিরে রাঙিয়ে তুলবেন নিজেদের তা তৈরীতে এখন ফুরসৎ নেই আবির তৈরীর কারখানার শ্রমিকদের। দিন রাত একযোগে চলছে কাজ।
শিলিগুড়ির ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ফুলবাড়ির চম্পদগছ এবং জ্যোতিনগর এই দুই জায়গায় চলছে আবির তৈরীর প্রস্তুতি। হাতে গোনা কয়েক দিন বাকি। সর্বত্রই চলছে দোল পূর্ণিমার প্রস্তুতি। একে অপরকে কি রঙে রঙীন করে তুলবে তা নিয়ে চলছে আলোচনা। কারখানায় রকমারি রঙের আবিরের প্রস্তুতি চলছে। কোন নেই? লাল, নীল, সবুজ, গেরুয়া, হলদে তো আছেই। আরো কয়েক রঙের আবির তৈরীর প্রস্তুতি চলছে। সঙ্গে সাবেক গোলাপি আবির তো থাকছেই।
আবির তৈরীর কারখানায় এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। ভুটান থেকে পাউডার আনা হয়েছে। তারপর বাহারী রঙ এবং সুগন্ধি মিশিয়ে তৈরী করা হচ্ছে বিভিন্ন রঙের আবির। আবির তৈরীর পর তা প্যাকেটজাত করা হবে। প্যাকেটিংয়ের পর আসবে বাজারে। শুধু শিলিগুড়ি নয়, এখানকার তৈরী আবির পাড়ি দিচ্ছে নেপাল এবং সিকিমেও। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে শিলিগুড়ির তৈরী আবির। চাহিদাও বাড়ভহে কয়েক গুন। এবারে বাজার ভালোই হবে। কারণ, করোনার প্রভাব পড়েছে হোলি উৎসবেও। প্রতিবছর চীনের তৈরী বাহারি রঙ বাজারে ছেয়ে যেত। এবারে সেই সম্ভাবনা থাকছে না। চীন থেকে আমদানী নেই। তাই স্থানীয় তৈরী আবিরের চাহিদা এবারে বাড়বে বলেই আশাবাদী প্রস্তুতকারী সংস্থার কর্তারা। দামও এবারে গতবারের তুলনায় কিছুটা বাড়ছে। কেন? কাঁচামালের দাম বাড়ায় আবিরের দাম বাড়ছে বলে প্রস্তুতকারী সংস্থা জানিয়েছে। রঙের উৎসবে মেতে ওঠার প্রস্তুতি চলছে সর্বত্র। বাজারে আসছে লাল, নীল, গেরুয়া, সবুজ আবির। ফাগুন উৎসবে যে দোরগোড়ায়। তবে সবুজ, গেরুয়া না লাল কোন রঙের আবির চাহিদায় এক নম্বরে থাকবে সেই কাউন্টডাউনও শুরু।
পার্থপ্রতিম সরকার
Published by:Elina Datta
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।