উত্তর ২৪ পরগনা: হারিয়ে যেতে বসেছে বাংলার পুরনো পটচিত্র। আর সেই পটচিত্রকে বাঁচিয়ে রাখতেই, শিল্পীরা অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছেন। আর তাতেই যেমন বেঁচে থাকছে শিল্প, পাশাপাশি চলছে সংসারও। এরকমই পটশিল্পীদের দেখা মিলল বাংলার দ্বিতীয় বৃহত্তম লোক উৎসব মেলা বানীপুরে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে আসা পটশিল্পীরা জানালেন, সংস্কৃত ‘পট’ শব্দের অর্থ হল কাপড়, আর ‘চিত্র’ মানে ছবি। অর্থাৎ পটচিত্র বলতে কাপড়ের উপর অঙ্কিত চিত্রকে বোঝানো হয়। এই চিত্রগুলি অঙ্কন করার জন্য প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি রং ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন- গাছের সিম দিয়ে সবুজ রং, ভুসোকালি দিয়ে কালো রং, অপরাজিতা ফুল দিয়ে নীল রং, সেগুন গাছের পাতা দিয়ে মেরুন রং, পান-সুপারি চুন দিয়ে লাল রং, পুঁই ফল দিয়ে গোলাপি রং, কাঁচা হলুদ দিয়ে হলুদ রং, পুকুর খনন করে মাটি বের করে তা দিয়ে সাদা রং ইত্যাদি তৈরি করা হয়।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের আগে অঙ্ক পরীক্ষার ভয় দূর করুন, রইল শেষ মুহূর্তের টিপস
সাধারণত এই সমস্ত প্রাকৃতিক রং দিয়ে পটচিত্রের পাশাপাশি ছাতা, হাতপাখা, হ্যান্ডব্যাগ, মোড়া, লন্ঠন, কেটলি নানা জিনিস আঁকা হয়। তবে বর্তমানে এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে, শাড়ি সালোয়ার-কামিজ, টি-শার্ট এও ফেব্রিক রং ব্যবহার করে পটচিত্র তৈরি করছেন শিল্পীরা। আর এভাবেই পটচিত্রের মাধ্যমে তৈরি নানা জিনিসের সম্ভার নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মেলায় পৌঁছে যান তাঁরা।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষার রাইটিং সেকশনের প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি, জানুন সহজ টিপস
করোনাকালীন পরিস্থিতিতে কঠিন অবস্থা তৈরি হলেও বর্তমানে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন এই শিল্পীরা। এদিন বানীপুর মেলায় পটচিত্র শিল্পীদের স্টলে রীতিমতো ভিড় দেখা গেল সাধারণ মানুষদের। নিজেদের পছন্দের মতো পটচিত্রের জিনিসপত্র কিনছেন মেলায় ঘুরতে আসা মানুষ। আর এভাবেই বেঁচে থাকছে বাংলার পটচিত্র। হাসি ফুটছে শিল্পীদের মুখে।
রুদ্র নারায়ণ রায়
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।