হোম /খবর /উত্তর ২৪ পরগণা /
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তথ্য ফাঁস! দুর্নীতির কথা স্বীকার চন্দন মণ্ডলের জামাইয়ের

Teacher Recruitment Scam|| শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস! দুর্নীতির কথা স্বীকার চন্দন মণ্ডলের জামাইয়ের

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস

Teacher Recruitment Scam: স্কুলে শিক্ষক  নিয়োগ দূর্নীতির নতুন তথ্য প্রকাশ্যে এল। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাত প্যরিচরণ সরকার প্রাইমারি স্কুলের দু'বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন বাগদার চন্দন মণ্ডলের জামাই জয়ন্ত দাস।

  • Share this:

বারাসাত: স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতির নতুন তথ্য প্রকাশ্যে এল, সোমবার নিজের মুখেই একধিক দুর্নীতির কথা সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে স্বীকার করেন 'সৎ রঞ্জন'-র 'সৎ জামাই'। বারাসাত প্যারিচরণ সরকার প্রাইমারি স্কুলের ডেপুটেশনে গত দু'বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন 'সৎ রঞ্জন' ওরফে নিয়োগ দূর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া বাগদার চন্দন মণ্ডলের জামাই জয়ন্ত দাস। জয়ন্ত 'সৎ' ভাবে চাকরি পেয়েছেন বলে দাবি করলেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে যা যা বলেছেন, সেটা আদতে তার নিয়োগ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

তার নিয়োগ এসসি কোটাতে হয়েছে নাকি সাধারণভাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, "আমি ২০০৯ সালে এসসি কোটায় আবেদন করি। কিন্তু সরকার আমাকে জেনারেল কোটায় চাকরি দেয়। সরকার যদি ভুল করে তবে আমি কি করতে পারি।" পাশাপাশি, তিনি জানান বিষয়টি নিয়ে ১৭ জন হাইকোর্টে মামলা করেছিল। পরবর্তীতে সরকার সেই ১৭ জনকে সম্প্রতি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেছে বলে জয়ন্ত নিজেই স্বীকার করেছেন। তবে এ বিষয় নিয়ে চলতি বছরে আবারও ৭৮ জন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন, সেই মামলা এখনও বিচারাধীন।

আরও পড়ুনঃ আতঙ্ক! খনিজ তেল খুঁজছে ওএনজিসি, গাইঘাটায় ঘরে ঘরে ধরছে ফাটল  

পাশাপাশি, যে জেলায় পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষাদেবে সেই জেলাতেই কর্মরত থাকতে হবে বলে স্কুল শিক্ষা দফতর যে নির্দেশিকা জারি করেছিল তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২০০৯ সালে হাওড়া জেলায় শিক্ষক হিসেবে পরীক্ষা দেন তা ২০১৪ সালে নিয়োগ হয় বলে তার দাবী।

সূত্রের খবর, চন্দন মণ্ডলের মেয়ের সঙ্গে বিয়ের পরেই চাকরি পান জয়ন্ত দাস। শুধু তাই নয়, স্ত্রী গর্ভবর্তী সেই কারণ দেখিয়ে কী ভাবে ২০১৭ সালে উত্তর ২৪ পরগণা জেলায় বদলি হল, তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে কোন জাদু বলে বা কার প্রভাবে এই বদলি হল, তা নিয়েও শিক্ষক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও সমস্ত ক্ষেত্রেই জয়ন্ত দাস তার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে তার অসংলগ্ন কথা ও কিছু স্বীকারোক্তি সন্দেহের বীজ বুনেছে। যদিও তার শ্বশুরমশাই 'সৎ রঞ্জন' ওরফে চন্দন মণ্ডলের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতির অভিযোগ আসার কারণে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেছেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, শ্বশুরমশাইয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল ছিল না। তবুও চন্দন মণ্ডলের জামাইয়ের চাকরি নিয়ে উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন।

জিয়াউল আলম

Published by:Shubhagata Dey
First published:

Tags: Barasat