North 24 Parganas: মিলছে না অনুমতি, জীবিকায় টান সীমান্তের কুলিদের
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
করোনার কারণে মিলছে না অনুমতি, জীবিকায় টান সীমান্তের কুলিদের
রুদ্র নারায়ন রায়, উত্তর ২৪ পরগনা: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত (India-Bangladesh Border) পেট্রাপোল দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেন দুই দেশের যাত্রীরা। অনেকের সঙ্গেই থাকে ভারী ব্যাগ। সব সময় ব্যাগ টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়না যাত্রীদের পক্ষে। আর তার জন্যই সীমান্তে রয়েছেন কুলিরা। যারা অল্প কিছু মূল্যেই সেই ভারী বোঝা তুলে গন্তব্যে পৌঁছে দেন যাত্রীদের। করোনা (Covid-19) অতিমারির কারণে দীর্ঘ প্রায় দু'বছর ধরে বন্ধ ছিল পেট্রাপোল সীমান্তে (Border) যাত্রী পারাপার। এই যাত্রী পারাপার কে ঘিরে অনেক মানুষের রুটিরুজি চলত পেট্রাপোল স্থলবন্দরে। বিশেষত যারা কুলির কাজ করেন তাদের রুটিরুজি ছিল এই পেট্রাপোল সীমান্তে যাত্রীদের জিনিসপত্র বয়ে নিয়ে যাওয়ার পারিশ্রমিক থেকে।
বর্তমানে, যাত্রী পারাপার চলছে পেট্রাপোল সীমান্তে, কিন্তু কুলিদের কাজ করার অনুমতি দিচ্ছে না পেট্রাপোল সীমান্ত কর্তৃপক্ষ। ফলে জীবিকায় টান পড়ছে খেটে খাওয়া এই মানুষগুলোর।পেট্রাপোল বন্দরে বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে আসেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের সদস্য উৎপল রায়। এ বিষয়ে উৎপল রায় জানান, 'পেট্রাপোল সীমান্তে প্রায় ৪০০ অধিক কুলি কাজ করেন। স্বাভাবিকভাবে এখন তারা কাজ করার অনুমতি পাচ্ছেন না। ফলে কষ্টে দিন কাটছে তাদের। তারা যাতে কাজ করতে পারে পুনরায় সেই বিষয়ে আলোচনা হল পেট্রাপোল বন্দর কতৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছেন করোনা পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই আমরা কুলিদের কাজ করার অনুমতি দেব।'
advertisement
এ বিষয়ে ছয়ঘড়িয়া পঞ্চায়েত প্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, 'আমাদের এই পেট্রাপোল সীমান্তে চারশোরও বেশি কুলি দিনমজুরের কাজ করেন। তাদের সংসার চলে এই সীমান্তের উপর নির্ভর করে। কিন্তু বিগত বছরগুলিতে করোনার ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাদেরকে কাজ করার অনুমতি দিচ্ছিলেন না পেট্রাপোল সীমান্ত কর্তৃপক্ষ। কুলিরা জানান, আমরা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এখানে কাজ করতে পারছিনা। রুটিরুজি বন্ধ হওয়ার ফলে আর্থিক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে পরিবার নিয়ে। আমাদের দাবি অবিলম্বে আমাদের কাজ করার সুযোগ দেওয়া হোক।
advertisement
Location :
First Published :
January 20, 2022 2:23 PM IST