#বর্ধমান: সবাই বলে, ভূতবাংলো। কারা নাকি ঘুঙুর পরে হেঁটে বেড়ায়। তখন নাকি বাজনা বেজে ওঠে। রাতে দূরের কথা, দিনের বেলাতেও এই বাড়ির কাছে ঘেঁসেন না কেউ। বর্ধমানে দামোদরের তীরে ভূতের গল্প নিয়ে একা দাঁড়িয়ে থাকে ভগ্নপ্রায় জমিদারবাড়ি। পুজোর সময় চেহারাটা পালটায়। তখন যে উমা আসেন। পুজোর সময় ভূতবাংলো দেখতে যাবেন?
পুজো মানে গল্পের বই। পড়ার বইয়ে লুকিয়ে অশরীরীদের হাতছানি। ঠা ঠা রোদের দুপুরে যখন একা ঘর, তখন ঘাড়ে যেন কার ঠান্ডা নিঃশ্বাস.. আর রাত হলে সেসব মনে করে ভয়ে কাঁটা....
তারপর বেলা গড়িয়েছে, ব্যস্ততার দৌড়ে ভূতেরাও কোথাও গায়েব। পুজোয় ভূত দেখলে কেমন হয়? ভাঙা অট্টালিকার ঝোপ জঙ্গলে গা ছমছমে অনুভূতি পেলে কেমন হয়? তাহলে যেতে হবে বর্ধমানে। সদরঘাট ছাড়ালেই পলেমপুর। বাঁ দিকে দামোদরের তীর ঘেঁসে মাটির রাস্তা। তিন কিলোমিটার পেরিয়ে বসুদের জমিদার বাড়ি। লোকে বলে ভূতের বাড়ি।
আগাছায় ভরা চারপাশ। ভেতরে চাপ চাপ অন্ধকার। একটানা ঝিঁ ঝিঁর ডাক। রাতে দূরে থাক, দিনেও কেউ ঘেঁসেন না। ভুতুড়ে বাড়িটাতে কিন্তু পুজো আসে। বসু পরিবারের কেউ কলকাতা, কেউ মুম্বই, কেউ থাকেন বিদেশে। তবে পুজো এলে সারাবছরের আঁধার ঘোচে। জেনারেটরের আলোয় ভূতুড়ে বাড়িটা গমগম করে।
ইংরেজ শাসনের শুরুতে এলাকার দেওয়ান নিযুক্ত হন এই পরিবারের সদস্য দেবনারায়ণ বসু। সেই সূত্র ধরেই গড়ে উঠল বিশাল এই অট্টালিকা। তার বাইরের অংশে তৈরি হল দুর্গা দালান। শুরু হল দুর্গাপুজো।
জমিদার বাড়িতে ছিল নাচঘর। নতর্কীরা মজলিস জমাতেন। ইংরেজরা আসতেন। যাত্রা, পালাগানের আসর বসত। এখন দরজা জানালা খসে গিয়েছে। কড়ি বরগা উধাও। বুনো লতা আঁকড়ে ধরেছে দেওয়াল। কে জানে, হয়ত সেই নতর্কীরা স্মৃতি ভুলতে পারেননি। তাই ঝপ করে অন্ধকার নামলেই তাঁরা ফিরে যান সন্ধেগুলোতে। হয়ত, পুজোর সময় আগের সবকিছুই থাকে। শুধু দেখা যায় না.. অতীত আর বর্তমান হাত ধরে দাঁড়িয়ে থাকে ভূতবাংলোয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bardhaman, District Durga Puja 2020, durga-puja-2020, Puja-tour-2020, Traditional Durga Puja 2020