West Bengal SSC Scam: "এই কেলেঙ্কারি ভবিষ্যত প্রজন্মকে অধঃপতনের মুখে ফেলবে": মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর
- Published by:Madhurima Dutta
- news18 bangla
Last Updated:
Union Education Minister Letters CM Mamata Banerjee: "পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে এই অনিয়ম অবশ্যই শিক্ষার গুণমানকে ব্যাহত করবে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে অধঃপতনের মুখে ফেলবে,” লিখেছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান।
#নয়াদিল্লি: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আজ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীকে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিতেও বলেছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। বহু কোটি টাকার চাকরি কেলেঙ্কারিতে চলা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তের মধ্যেই এই চিঠিটি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ২৩ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। চিঠিতে বলা হয়েছে, “পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি সম্পর্কে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শিক্ষক ও শিক্ষক সংগঠনের কাছ থেকে পাওয়া বিপুল সংখ্যক বার্তা একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে এই অনিয়ম অবশ্যই শিক্ষার গুণমানকে ব্যাহত করবে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে অধঃপতনের মুখে ফেলবে,” লিখেছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান।
“আমি আন্তরিকভাবে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাকে অনুরোধ করছি,” লিখেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে, সরকারি এবং সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে গ্রুপ সি এবং ডি কর্মীদের পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত দিকটি খতিয়ে দেখছে ইডি। ইডি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে সোনা সহ প্রায় ৫০ কোটি নগদ টাকা উদ্ধার করেছে।
advertisement
advertisement
চিঠিতে, রাজ্য স্তরের নির্বাচন পরীক্ষার (SLST) মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের কিছু উদাহরণও উল্লেখ করেছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। “আমি কিছু নির্দিষ্ট উদাহরণে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। রাজ্য স্তরের নির্বাচন পরীক্ষার (SLST) মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়াটি ২০১৪ সালে শুরু হয়েছিল। তবে, প্রকৃত নিয়োগ হয়েছে দুই বছর পরে, ২০১৬ সালে,” চিঠিতে লিখেছেন মন্ত্রী।
advertisement
“এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। সরকারচালিত বা সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে গ্রুপ সি এবং ডি কর্মীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে ২০১৬ সালে রাজ্য সরকার স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল। এটিও একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয়,” লেখা রয়েছে চিঠিতে।
Location :
First Published :
August 02, 2022 10:47 PM IST