#বাগেশ্বর: হিন্দু বিয়েতে সংস্কৃত শ্লোক তো থাকেই। মন্ত্র পড়ে সম্পন্ন হয় স্বামী-স্ত্রী’র একে অপরের পাশে থাকার অঙ্গীকার। কিন্তু তা বলে মন্ত্র পড়ে একেবারে কোভিড-সুরক্ষার প্রোটোকল মেনে চলার অঙ্গীকার? তা-ও কি সম্ভব?
করোনা কালে সম্ভব হচ্ছে এরকম ঘটনাও। উত্তরাখন্ডের বাগেশ্বর জেলার একজন পুলিশ অফিসারের উদ্যোগেই ঘটল এমন অভাবনীয় ঘটনা। বিয়েবাড়িতে নিমন্ত্রিতদের, সংস্কৃত শ্লোক আউড়ে বলতে হল, করোনা ভাইরাস যাতে না ছড়ায়, তার জন্য তাঁরা সব নিয়ম মেনে চলবেন।
পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট মনিকান্ত মিশ্র এই বিয়েবাড়িতে পৌঁছেছিলেন সেখানে কোভিড সংক্রান্ত সমস্ত নিয়ম বিধি মানা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে। সেখানে তিনি বর, কনে এবং তাঁদের আত্মীয়-স্বজনদের এই অঙ্গীকার করতে বলেন।
তাঁর এই অভাবনীয় পদক্ষেপের কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এখন করোনা ভাইরাসের দাপটে সুস্থ থাকাই দায়। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচার একটাই উপায়, নির্দিষ্ট নিয়মবিধি মেনে চলা। এই বার্তাই তিনি মহামারির সময়ে সকলকে দিতে চেয়েছেন।
পুলিশ অফিসার মিশ্র, আগেই কনের বাবাকে এই অভিনব পন্থার কথা জানিয়েছিলেন। তবে সেই পরিবার থেকে জানানো হয় যে মেয়ের বিয়ের দিন তাঁরা এসবের জন্য সময় পাবেন না। অবশেষে অফিসার নিজেই পৌঁছে যান বিয়ের মন্ডপে। সেখানে গিয়ে তিনি এবং তাঁর এক সহকর্মী সকলকে বিতরণ করেন কোভিড সংক্রান্ত সংস্কৃত শ্লোকের একটি করে কপি।
সংস্কৃত শ্লোক নতুন পন্থা হলেও, শ্লোকের বিষয়বস্তু কিন্তু সকলেরই জানা। নিয়মিত হাত ধোওয়া, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা ইত্যাদি। এই পুলিশ অফিসার বলেছেন, তিনি পুরোহিত এবং বর-কনের বাড়ির লোককে এটাই বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে অন্যান্য নিয়ম-কানুনের মতো, কোভিড-সংক্রান্ত নিয়ম মেনে চলার অঙ্গীকারও হয়ে উঠুক বিবাহ বাসরের একটি অংশ।
Antara Dey