#নয়াদিল্লি: সংসদের বাদল অধিবেশন এর আগে নিয়মমাফিক সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে ছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বৈঠক আহ্বান করেছিলেন। শেষের দিকে বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংসদীয় রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিরা প্রত্যেকেই ছিলেন। ছিলেন বিজেপি, কংগ্রেস, সমাজবাদী পাটি, বহুজন সমাজ পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেডি, সিপিএম, সিপিআই, আরএসপি, জেডি(ইউ), আরজেডি, টি আর এস, টি ডি পি, ডিএমকে, আইডিএমকে, শিরোমনি অকালি দল, ন্যাশনাল কনফারেন্স-সহ অন্যান্য দলের নেতারা। প্রত্যেকে এই সংসদের রীতিনীতি এবং বিজেপি সরকারের ভালো-মন্দ দিকগুলি তুলে ধরেছেন।
কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির নেতা রামগোপাল যাদব সবাইকে চমকে দিয়ে একটি বিষয় উত্থাপন করেন। বৈঠকে উপস্থিত রাজনাথ সিংকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, "আপনি প্রবীণ নেতা। অনেক কিছু দেখেছেন। সংসদীয় অভিজ্ঞতা আপনার অনেক। কেন্দ্র ও রাজ্যের সম্পর্ক নিয়েও আপনার জ্ঞান রয়েছে। কয়েকটি রাজ্যে(পশ্চিমবঙ্গের নাম না করে) রাজভবন তো কার্যত বিজেপির পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে। বিষয়টি আপনাদের দেখা উচিত। রাজ্যপালের ভাষণ, বক্তব্য, চালচলন এবং ট্যুইট- সবই একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষে। এমনটা চলতে দেওয়া যেতে পারে না। আপনাদের মত প্রবীণ নেতাদের এই বিষয়টি দেখা উচিত।"
উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের অন্যতম সৈনিকের মুখে একথা শুনে তৃণমূলের সাংসদরা কার্যত উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন তৃণমূলের দুই প্রতিনিধি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও'ব্রায়েন।পরে তৃণমূলের এক প্রবীণ সাংসদ "নিউজ এইট্টিন বাংলা"কে জানান, "সমাজবাদী পার্টির নেতা এই বিষয়টি উত্থাপন করবেন তা আমরা ঘুণাক্ষরেও টের পাইনি। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। রাজভবন সত্যিই বিজেপির কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে। নানা স্তরে আমরা বহুবার সেই অভিযোগ জানিয়েছি। আসলে রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড়কে দিল্লি থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। উনি অমিত শাহর হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছেন। তবে ভালো লাগল, পশ্চিমবঙ্গের বাইরে উত্তর প্রদেশ থেকে এক নেতা বিষয়টি লক্ষ্য করেছেন এবং সর্বদলীয় বৈঠকের উত্থাপন করেছেন।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রামগোপাল যাদব প্রবীণ এবং পোড়খাওয়া নেতা বিরোধী শিবিরে তাঁর সমাদর রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল বনাম রাজ্য সরকারের বিরোধ কারো জানা নেই। আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে এবার সংসদে রাজ্যপাল ও রাজ্যের সংঘাতে বিষয়টি উত্থাপন করতে পারেন বিভিন্ন দলের সাংসদরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Narendra Modi, Pirlament