কলকাতা: কোভিড ১৯ লকডাউন হয়েছিল ২০২০ সালে৷ সেই লকডাউনের দরুণ বহু মানুষ নিজেদের কাজ হারিয়েছিলেন৷ বহ মানুষ নিজেদের জায়গা ছেড়ে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করে পরিবার প্রতিপালন করতেন তাঁরা নিজেদের পরিবার নিয়ে ফের নিজেদের গ্রামে ফিরেছিলেন৷ কারণ শহরে জীবনধারণের জন্য যে বিশাল পরিমাণ খরচ করার কথা তা তারা চালাতে পারছিলেন না৷ প্রচুর মানুষ এই সময়ে নিজের কাজ শুরু করেন৷ অন্তপ্রেনাররা নিজেদের মতো করে প্রচুর নিজেদের কাজ শুরু করেন৷ তেমনিই বিশাখাপত্তনমের দুই বন্ধু নিজেদের ব্যবসা করতে শুরু করেন৷ নিজেদের আগের কাজ হারিয়ে এসেছিলেন এই দু জন৷
বিশাখাপত্তনমের নরসিং এবং নাক্কা রাজু কোথাকোটার তাঁদের শিল্পকলাকেই ব্যবসায় রূপ দেন৷ নরসিং ক্লাস ৭ অবধি পড়াশুনো করেছিল আর নাক্কা রাজু ক্লাস ১০ অবধি পড়াশুনো করেছেন৷ পাশাপাশি তাঁরা প্লাস্টার অফ প্যারিসের কাজও জানতেন৷ তাঁরা বিশাখাপত্তনমে একজনের অধীনে এই প্লাস্টার প্যারিসের কাজ করতেন৷ সেখানে কাজ চলে যায় তাঁদের৷ তারপরে তাঁরা নিজেদের নতুন কাজের কথা ভাবতে শুরু করেন৷ তাঁদের যে সামাণ্য পুঁজি ছিল তা নিয়ে দোন্ডাপুদি গ্রামে একটা জায়গায় বিনিয়োগ করেন৷
আরও পড়ুন - Panchang 25 March: কাল আপনার একটা বড় কাজ রয়েছে, দেখে নিন শুভ মুহূর্ত আর রাহুকাল কখন
তাঁরা চেয়ার -টেবল বানানো শুরু করেন৷ সেটাও একেবারে অভিনব , তাঁরা বিভিন্ন ফলের শেপে সেগুলো বানাতে শুরু করেন৷ এভাবেই তাঁরা গ্রাহকের চাহিদা মতো তাঁদের বলে দেওয়া পছন্দ করা শেপে বানিয়ে দিত চেয়ার -টেবল৷ কোনওটা চিতাবাঘ, কোনওটা নৃত্য শিল্পী, এমনকি শ্রী কৃষ্ণ ও শ্রী বিষ্ণুর আকৃতিতেও৷
আরও পড়ুন - Hooghly News: সাম্মানিকে তো সংসার চলে না, সততার সঙ্গে চা -চপ বিক্রি করেন ‘এই’ পঞ্চায়েত প্রধান
শুরুর দিকে খুব অল্প পয়সায় তাঁরা নিজেদের সামগ্রী সাপ্লাই করতেন৷ এই সময়ে তাঁরা নিজেদের স্কিলকে আরও জোরদার করার কাজ করছিলেন৷ তাঁদের কাজ নিয়ে গ্রাহকরা খুবই খুশি হয়ে যান৷ তাঁদের নামে নামে প্রচার ছড়িয়ে পড়ে৷ নিউজ ১৮ কন্নড়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তাঁরা ১ লক্ষ টাকা দিয়ে তারপরে সেই ব্যবসার টাকা ক্রমশ বেড়েছে৷ এখন তাঁরা তাঁদের কাজ থেকে লাভজনক স্কেলে উৎপাদন করছেন৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Lockdown, Vishakhapattanam