Train Alarm Chain Pulling: যখন তখন ট্রেনের চেন টানার অভ্যাস আছে আপনার? একবার ধরা পড়লে কী শাস্তি অপেক্ষা করছে, জেনে নিন

Last Updated:

Train Alarm Chain Pulling:অনাবশ্যক কারণে অ্যালার্ম চেন পুলিং-এর ঘটনাগুলি ভারতীয় রেলওয়ে নেটওয়ার্কেরদক্ষতা এবং সময়ানুবর্তিতাকে ব্যাহত করার জন্য একটি উল্লেখযোগ্যকারণ হয়ে উঠেছে

যাত্রিবাহী ট্রেনে অ্যালার্ম চেইনের অপব্যবহার সময়ানুবর্তিতাকে প্রভাবিত করে এবং রেলওয়ে অপারেশনাল ক্ষতির সম্মুখীন হয়
যাত্রিবাহী ট্রেনে অ্যালার্ম চেইনের অপব্যবহার সময়ানুবর্তিতাকে প্রভাবিত করে এবং রেলওয়ে অপারেশনাল ক্ষতির সম্মুখীন হয়
কলকাতা: ট্রেনের অ্যালার্ম চেইনগুলি একটি অপরিহার্য সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য হিসাবে কাজ করে, যা যাত্রীদের সুরক্ষা সম্বন্ধীয় বিপদ, চিকিৎসা সংকট বা অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতিতে তৎক্ষণাৎ হস্তক্ষেপের প্রয়োজন সম্পর্কিত জরুরি পরিস্থিতিতে ট্রেন থামানোর সুবিধা থাকে। অবশ্য, অ্যালার্ম চেনের অপব্যবহার ক্রমান্বয়ে একটি চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে, যার জন্য অপ্রয়োজনীয় স্টপ এবং পরিচালনগত প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। অ্যালার্ম চেন পুলিং-এর অনেক ঘটনা জরুরি নয়, এমন কারণের জন্য হয়, যেমন যাত্রীরা অনির্ধারিত স্থানে ট্রেনে ওঠা বা নামার চেষ্টা করা, তাঁদের স্টেশন ভুলে যাওয়া বা অন্যান্য ব্যক্তিগত সুবিধাগুলি থাকে। অনাবশ্যক কারণে অ্যালার্ম চেন পুলিং-এর ঘটনাগুলি ভারতীয় রেলওয়ে নেটওয়ার্কের দক্ষতা এবং সময়ানুবর্তিতাকে ব্যাহত করার জন্য একটি উল্লেখযোগ্যকারণ হয়ে উঠেছে।
জানুয়ারি ও ডিসেম্বর ২০২৪-এর মধ্যে, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের আরপিএফ অ্যালার্ম চেন পুলিং-এর ২,১০৫টি ঘটনা রেকর্ড করেছে৷ ফলস্বরূপ, ২,১১২ জনকে গ্রেফতার করা হয় এবং অপরাধীদের কাছ থেকে ৮.৩৭ লক্ষরও বেশি টাকার জরিমানা হিসেবে আদায় করা হয়। শুধু গত দু’ মাসে, জোন-এ অনাবশ্যক অ্যালার্ম চেন পুলিং-এ ১৯৬টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়, ফলে ২০৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ৯০ হাজারেরও অধিক টাকার জরিমানা করা হয়েছে। সকল গ্রেফতার ব্যক্তি বর্তমানে রেলওয়ে আইন লঙ্ঘনের জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতের এখতিয়ারের অধীনে বিচারের সম্মুখীন হচ্ছে।
advertisement
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ, একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বৈধ কারণ ছাড়াই ডিফু স্টেশনে ১২৪২৪ (নিউ দিল্লি – ডিব্রুগড়) রাজধানী এক্সপ্রেসের অ্যালার্ম চেনটি বেআইনিভাবে টানার জন্য মামলা করা হয়। এর ফলে ট্রেনটি ১০ ​​মিনিট আটকে রাখা হয়। উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের শ্যামনারায়ণ বিন্দ নামের অপরাধী পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জং. থেকে ডিমাপুর যাচ্ছিলেন। যখনই ট্রেনটি ডিমাপুর স্টেশন থেকে রওনা দিল, তিনি সময়মতো নামতে পারেননি এবং ট্রেন থামানোর জন্য অ্যালার্ম চেন টেনে নেন। কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মীরা তাকে আটক করে এবং জিজ্ঞাসাবাদে সে অপরাধ স্বীকার করে। শ্যামনারায়ণ বিন্দের বিরুদ্ধে রেলওয়ে আইনের ১৪১ ধারার অধীনে ডিমাপুর আরপিএফ পোস্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে ও তদন্ত চলছে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : চলছে আলোচনা, এই রেলস্টেশনকে বিশ্বমানের স্টেশনে রূপান্তর করতে উদ্যোগ সরকারি স্তরে
যাত্রিবাহী ট্রেনে অ্যালার্ম চেইনের অপব্যবহার সময়ানুবর্তিতাকে প্রভাবিত করে এবং রেলওয়ে অপারেশনাল ক্ষতির সম্মুখীন হয়। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে যাত্রীদের অ্যালার্ম চেইনের অপব্যবহার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়, কারণ এটি একটি অপরাধ যা সহযাত্রীদের অসুবিধার কারণ হতে পারে। বৈধ এবং পর্যাপ্ত কারণ ছাড়াই অ্যালার্ম চেন টানা রেলওয়ে আইনের ১৪১ ধারার অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ, যার ফলে গ্রেফতার অথবা জরিমানা বা দুটোই হতে পারে।
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Train Alarm Chain Pulling: যখন তখন ট্রেনের চেন টানার অভ্যাস আছে আপনার? একবার ধরা পড়লে কী শাস্তি অপেক্ষা করছে, জেনে নিন
Next Article
advertisement
Durga Puja 2025: শারদ আনন্দ ছুঁয়ে যাবে ওঁদেরকেও, প্রকাশিত হল পুজো মণ্ডপের ব্রেইল গাইড!
শারদ আনন্দ ছুঁয়ে যাবে ওঁদেরকেও, প্রকাশিত হল পুজো মণ্ডপের ব্রেইল গাইড!
  • চোখের দৃষ্টিতে যাঁদের শুধুই অন্ধকার, তাঁদের জন্য অনুভূতিই সব। শারদোৎসবের আমেজ-উদ্দীপনায় তাঁরা যাতে পিছিয়ে না পড়েন, তার জন্য নেওয়া হল অভিনব উদ্যোগ।

VIEW MORE
advertisement
advertisement