Rajib Chakraborty
#নয়াদিল্লি: গতবছর করোনা সংকটকালে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে একের পর এক ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সেবারও বেশিরভাগ ঘোষণা জুড়ে ছিল শুধুই ব্যাঙ্ক ঋণ নেওয়ার সুবিধা। এ বার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর এই প্রথম কেন্দ্রীয় সরকার কোনও আর্থিক প্রকল্পের ঘোষণা করল। সোমবার বিকেলে অর্থ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুরকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন সীতারামন। এ দিকে, সীতারামন অনুরাগ ঠাকুরের ঘোষণার পর বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্রীয় প্রকল্প এবং কেন্দ্রীয় প্যাকেজ ইত্যাদির অর্থ কি শুধুই ব্যাঙ্ক ঋণ? মানুষের হাতে টাকা কই?
নানা ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক ঋণ নেওয়ার শর্তাবলী আরও কিছুটা সহজ করার ঘোষণা করেছেন তিনি। পাশাপাশি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত গরিব মানুষের সাহায্যে কয়েকটি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সময়সীমা বাড়িয়েছেন।অর্থমন্ত্রীর ঘোষণার গুরুত্বপূর্ণ দিক গুলি হল, রেশনের মাধ্যমে গরিব মানুষকে পুষ্টিযুক্ত খাদ্য সরবরাহের জন্য ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। ‘আত্মনির্ভর ভারত রোজগার যোজনা’র সময়সীমাও ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এমন শিল্পের জন্য ১ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণ গ্যারান্টি দেবে সরকার।
এ জন্য একটি নতুন যোজনা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। এই যোজনায় বার্ষিক সর্বোচ্চ ৭.৯৫ শতাংশ সুদে ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পসংস্থা। ব্যাঙ্কের কাছ থেকে নেওয়া এই ঋণের গ্যারেন্টার থাকবে কেন্দ্রীয় সরকার।
উল্লেখ্য, গত বছর মে মাসে করোনা অতিমারি ও লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে ২০ লক্ষ কোটি টাকা আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই প্যাকেজের মধ্যেে ছিল ‘গরিব কল্যাণ যোজনা’। সীতারামন জানিয়েছেন, আজ অবধি গরিবদের খাদ্য সামগ্রী দিতে খরচের পরিমাণ ২ লক্ষ ২৭ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা।এছাড়াও, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এদিন ৫০ হাজার কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করেছেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে খুব একটা ক্ষতি গ্রস্থ হয়নি, এমন শিল্প সংস্থাগুলির জন্যেও ঋণ দেওয়ার প্রকল্প এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এক্ষেত্রেও গ্যারান্টার থাকবে সরকারই। তবে এই ধরনের সংস্থাগুলিকে ব্যাংকের কাছ থেকে বার্ষিক ৮.২৫ শতাংশ সুদের হারে ঋণ নিতে হবে। এজন্য ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন সীতারামন। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, শিল্প সংস্থা গুলির জন্য সাধারণত ব্যাংকে ঋণের হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি হয়ে থাকে। নরেন্দ্র মোদি সরকার নজর দিয়েছে পর্যটনশিল্পের দিকেও। করোনা সংক্রমণ দেশের পর্যটন শিল্পে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। কার্যত তলানিতে ঠেকেছে এই শিল্প। এমতাবস্থায় পর্যটন ক্ষেত্রেও বিশেষ ঋণ প্রদানের প্রকল্প এনেছে সরকার। একইসঙ্গে পর্যটকদের এদেশে টেনে আনতে আপাতত বিদেশি পর্যটকদের বিনামূল্যে পর্যটন ভিসা দেবে ভারত সরকার। তবে ৫ লক্ষ পর্যটককে মাত্র এক বারের জন্য এই সুবিধা দেওয়া হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।