#নয়াদিল্লি: কোভিড ১৯ এর জন্য দুটি ভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই ভারতে অনুমোদন পেয়েছে। করোনার জরুরিকালীন অবস্থায় ব্যবহারের জন্য দুটি ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন ড্রাগ কন্ট্রোলার ম্যানেজার ভিজি সোমানি। দুটির মধ্যে একটি ভ্যাকসিন তৈরি করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা। অন্যটি অর্থাৎ কোভ্যাকসিনের প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেক।
অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড প্রোডিউস করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হয়ে গিয়েছে এবং বর্তমানে ট্রায়াল চলতে থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে এই দুটি ভ্যাকসিন ছাড়াও আরও কয়েকটি ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে দেশে। দেখে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী-
১) জাইকোভ ডি- বায়োটেকনলজি দফতরের সঙ্গে জোট বেঁধে জাইডাস ক্যাডিলা এই ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। আহমেদবাদের এই ওষুধ প্রস্তুত কারক সংস্থাকে তৃতীয় ট্রায়াল দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে ডিসিজিআই।
২) স্পুটনিক ভি- রাশিয়ার গ্যামালেয়া ইনস্টিটিউটের তৈরি এই ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ট্রায়াল চালাচ্ছে ডক্টর রেড্ডি ল্যাবরেটরি। গত বছর ২৪ নভেম্বর রাশিয়া ঘোষণা করে যে এই ভ্যাকসিন ৯১.৪ শতাংশ কার্যকরী। এই বছর ভারত এই ভ্যাকসিনের ৩০০ মিলিয়ন ডোজ প্রস্তুত করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
৩) এনভিএক্স-কোভ ২৩৭৩- সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া আমেরিকান কোম্পানি নোভাভ্যাক্সের সঙ্গে এই ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে।
৪) বায়োলজিকাল ই লিমিটেড ভ্যাকসিন- এবছরের এপ্রিল থেকে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হবে। হায়দরাবাদের এই সংস্থা মার্কিন এক সংস্থার সঙ্গে এই ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এই ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী তা ফেব্রুয়ারির মধ্যে জানা যাবে।
৫) ভারত বায়োটেকস সেকেন্ড ভ্যাকসিন- আমেরিকার থমাস জাফারসন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জোট বেঁধে ভারত বায়োটেক আন্তর্জাতিক লিমিটেড এই ভ্যাকসিন প্রস্তুত করছে।