#তাইপেই: চিনের সঙ্গে সংঘাত আরও বাড়িয়ে তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামাকে স্বাগত জানাল তাইওয়ান৷ এ দিন তাইওয়ানের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এমন ঘোষণা করা হয়েছে৷ স্বভাবতই তাইওয়ানের এই সিদ্ধান্তে প্রবল ক্ষুব্ধ হবে বেজিং৷
২০০৯ সালে শেষবার তাইওয়ানে গিয়েছিলেন দলাই লামা৷ কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের আমলে এই গণতান্ত্রিক দ্বীপটিতে যাননি দলাই লামা৷ রবিবার নিজের জন্মদিনে তাইওয়ানে তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছিলেন, তিনি আবারও তাইওয়ানে যেতে ইচ্ছুক৷ এর পরই দলাই লামাকে আমন্ত্রণ জানালো তাইওয়ান প্রশাসন৷
তাইওয়ানের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জোয়ানে ওউ জানিয়েছিলেন, এখনও দলাই লামার তরফে সরকারি ভাবে কোনও আবেদন তাঁরা পাননি৷ কিন্তু দলাই লামা তাইওয়ানে আসার আবেদন জানালে নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে৷ তিনি বলেন, পারস্পরিক সম্মান এবং সম্মতির ভিত্তিতে তাঁরা বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার করার জন্য তাঁরা দলাই লামাকে তাইওয়ানে স্বাগত জানাতে ইচ্ছুক৷
তাইওয়ানের বর্তমান মহিলা প্রেসিডেন্টের ভূমিকা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান চিন৷ তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে বহু দিন ধরেই দাবি করে আসছে চিন৷
বেজিংয়ের মতে, তাইওয়ানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট স্বশাসিত এই দ্বীপটিকে পূর্ণ স্বাধীনতা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন৷ তাইওয়ানের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অবশ্য নিজেদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবেই দাবি করেছেন৷ তাঁর দাবি, গণপ্রজাতান্ত্রিক চিন নামে তাঁদের দেশের নাম নথিভুক্ত রয়েছে৷
কয়েকদিন আগেই হংকংয়ের বাসিন্দাদের তাইওয়ানে এসে থাকার জন্য সরকারি ভাবে প্রস্তাব দিয়েছে তাইপেই৷ চিন হংকংয়ের জন্য নতুন আইন পাশ করার পরই এই প্রস্তাব দিয়েছে তাইওয়ান৷ এর পর থেকেই বেজিংয়ের সঙ্গে তাইপেই-এর সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে৷ প্রকাশ্যেই তাইওয়ানের এই প্রস্তাবের সমালোচনা করেছে চিন৷
দলাই লামাকে বরাবরই বিভেদ সৃষ্টিকারী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে অভিযুক্ত করে চিন৷ তিব্বতি ধর্মগুরু অবশ্য পাল্টা দাবি করেন, নিজের মাতৃভূমির স্বশাসনই তাঁর একমাত্র দাবি৷