#নয়াদিল্লি: জনজীবনকে শান্ত রাখার অজুহাতে কাউকে কি এক বছরেরও বেশি সময় আইন বলে বন্দি করে রাখা যায়? পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিকে বন্দি করে রাখার ঘটনায় মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকার ও জম্মু কাশ্মীর প্রশাসনকে এই প্রশ্নই করল সুপ্রিম কোর্ট৷
জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির মেয়ের দায়ের করা মামলার শুনানি চলাকালীন এ দিন বিচারপতি সঞ্জয় কে কলের বেঞ্চ এই প্রশ্ন তুলেছে৷ এ দিন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে সুপ্রিম কোর্ট আরও প্রশ্ন করে, জন সুরক্ষা আইনে কি কাউকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এ ভাবে বন্দি করে রাখা যায়? বিচারপতি কল বলেন, 'এর আগেও অন্য একটি মামলায় এই প্রশ্ন উঠেছে৷ এ ভাবে কতদিন কাউকে আটকে রাখা যেতে পারে? চিরকাল তো কাউকে বন্দি করে রাখা যায় না?'
আইনজীবী নিত্য রামকৃষ্ণণ এ দিন সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেন, যাতে সংশোধনাগারের বন্দিরের মতোই মেহবুবা মুফতিকেও দিনে দু' বার ফোনে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়৷ এর পরই বিচারপতিরা সলিসিটর জেনারেলের কাছে জানতে চান, ঠিক কতদিন মেহবুবা মুফতিকে বন্দি করে রাখতে চায় সরকার? এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কার্যত সতর্ক করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা জানিয়ে দেন, যে কোনও মাধ্যম ব্যবহার করেই হোক সরকার যাতে বিষয়টির নিষ্পত্তি করে৷
যদিও এ দিনই কোনও পর্যবেক্ষণ না জানানোর জন্য বিচারপতিদের কাছে আর্জি জানান সলিসিটর জেনারেল৷ তিনি দাবি করেন, মেহবুবা মুফতি অতীতে জনসমক্ষে এমন মন্তব্য করেছেন, যা জনজীবনে উত্তেজনা ছড়িয়েছে৷
আগামী ১৫ অগাস্ট ফের মামলাটির বিস্তারিত শুনানি হবে৷ সেদিন সরকারি পক্ষকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে আসার জন্য নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ যদিও নিজের রাজনৈতিক দলের সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য মেহবুবা মুফতিকে অনুমতির আবেদন এ দিন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ প্রয়োজন অনুযায়ী স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে মেহবুবা মুফতিকে অনুমতি চাইতে হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার এবং তাকে ভেঙে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার আগের দিন গত ৪ অগাস্ট মেহবুবা মুফতিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল৷ শ্রীনগরে নিজের সরকারি বাসভবনেই বন্দি করে রাখা হয়েছে মেহবুবা মুফতিকে৷ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনকেই অস্থায়ী জেল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Mehbooba Mufti, Supreme Court