#কলকাতা: করোনার আক্রমণ ঠেকাতে সব সময় মাস্ক ব্যবহারের উপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু বাজারে সেই মাস্কের ব্যাপক আকাল। কালোবাজারি চলছে বলেও অভিযোগ। সরকারও মাস্ক জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে। তাই চাহিদা মেটাতে এবার বিচারাধীন বন্দিদের দিয়ে মাস্ক তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য কারা দফতর।
দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার, মেদিনীপুর সংশোধনাগার ও বহরমপুর সংশোধনাগারের বন্দীদের দিয়ে তৈরি করানো হচ্ছে মাস্ক। রাজ্য কারা দফতরের মন্ত্রী উজ্জল বিশ্বাসের নির্দেশ পেয়ে মাস্ক তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে সংশোধনাগারে। প্রতিদিন গড়ে দু'হাজার পিস মাস্ক তৈরি হবে এই সংশোধনাগার গুলিতে।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, সংশোধনাগারগুলিকে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার সিএমওএইচ দের থেকে পরামর্শ নিতে। করোনা ঠেকাতে প্রয়োজনীয় মাস্ক কি ধরনের হবে এবং তা কি দিয়ে তৈরি করা হবে সে ব্যাপারে পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে। সেই পরামর্শ মতোই শুরু হয়েছে মাক্স তৈরির কাজ। সংশোধনাগারের ভেতরেই বিচারাধীন বন্দীরা তৈরি করছেন সেই মাস্ক। আপাতত মাস্কগুলি বিচারাধীন বন্দীদের ব্যবহারের জন্য দেওয়া হবে। পরবর্তীতে তা তন্তুজ এর মাধ্যমে বাজারজাত করার পরিকল্পনা রয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের। ইতিমধ্যেই মাস্কের চাহিদা পূরণ করতে তন্তুজকে দায়িত্ব দিয়েছে রাজ্য সরকার।
সংশোধনাগার গুলি থেকে বন্দি দশা কাটিয়ে মুক্ত হওয়ার পর সাজাপ্রাপ্ত বন্দিরা যাতে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে, সেজন্য তাদের কর্মসংস্থান মুখী বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তেমনই সম্প্রতি বিভিন্ন জেলে সেলাইয়ের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে বেশকিছু বিচারাধীন বন্দিকে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে সেই প্রশিক্ষণ। যারা সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছে তাদের দিয়েই এই মাস্ক তৈরি করানো হচ্ছে।
কারা দফতরের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, "সিএমওএইচ দের থেকে পরামর্শ নিয়ে মাস্ক বানাতে বলা হয়েছে। বহরমপুর জেলে ইতিমধ্যেই মাস্ক বানানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।"
বিচারাধীন বন্দীদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য যে সরকারি কোষাগার রয়েছে তা থেকেই এই ধরনের মাস্ক তৈরির খরচ করা হচ্ছে। কেরলের পর এরাজ্যে এই ধরণের উদ্যোগ নেওয়া হল।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: China Corona, Corona Virus, Corona world, Effects, India, Jail, Kolkata