#নয়াদিল্লিঃ দিল্লি হিংসায় জড়িত আপ নেতা তাহির হুসেনের বিরুদ্ধে এবার Unlawful Activities Prevention Act বা ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু করল পুলিশ। যদিও দিল্লি ঘটনার পরই তাহিরকে দল থেকে সাসপেন্ড করে দল।
কয়েক মাস আগে CAA বিরোধীতায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় উত্তর-পূর্ব দিল্লি। হিংসায় কমপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন বহু মানুষ। নিহতদের মধ্যে ছিলেন এক পুলিশ কর্মী এবং একজন তরুণ গোয়েন্দা আধিকারিক। পুলিশ জানায়, উত্তর-পশ্চিম দিল্লির চাঁদবাগে তাহিরের বাড়ির কাছেই একটি ড্রেন থেকে প্রায় ২৪ ঘণ্টা পড়ে থাকার পর উদ্ধার হয় আইবি অফিসার অঙ্কিত শর্মার দেহ। আর তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় নাম জড়ায় তাহিরের। তারপরই ফেরার হয়ে যান তাহির। কয়েকদিন আত্মগোপন করে থাকার পর দিল্লির এক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গেলে, পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার হওয়ার আগে অবশ্য একটি ভিডিওতে তাহির দাবি করেন তিনি নির্দোষ। আইবি অফিসারের মৃত্যুর সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। পুলিশ অবশ্য আপের এই সাসপেন্ডেড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অপহরণ, খুন, পুলিশকে ভুয়ো তথ্য দেওয়া, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে। তাতেই নতুন সংযোজন ইউএপিএ ধারা। পাশাপাশি, ইডি-র তরফেও দিল্লি হিংসায় আর্থিক সাহায্য প্রদান এবং আর্থিক তছরুপের মামলা রুজু করা হয় তাহির হুসেনের বিরুদ্ধে।
এদিকে, ২১ এপ্রিল দিল্লি হিংসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকার অভিযোগে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা উমর খলিদ ও জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মীরান হায়দার ও সাফুরা জরগর নামে দুই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে উত্তরপূর্ব দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আইবি আধিকারিক অঙ্কিত শর্মার দেহ উদ্ধারের পর তাঁর বাবা তাহিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পরিবারের অভিযোগ ছিল, তাহির হুসেনের উস্কানিতেই গোয়েন্দা আধিকারিকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। পাশাপাশি, দিল্লির এই হিংসার সময় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা গিয়েছিল, তাহিরের বাড়ির ছাদে ইট-পাথর-পেট্রোল বোমা জড়ো করে রাখা। পরে তাহরের বাড়িতে তল্লাশি সেসব নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশ। যদিও, তাহির তাঁর এই ঘটনায় যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেন।