জাল ছুড়ে ধরতে চেয়েছিল ছানাদের, চোরাশিকারির বুক থাবা মেরে ফালাফালা করল সিংহী

Last Updated:

পশুদের যেমন বেকায়দায় ফেলে শিকার করা হয়, পশুরাও কিন্তু সুযোগ পেলে তেমনই পালটা আক্রমণ করে। আর তারই প্রমাণ মিলল গুজরাতের গির সোমনাথ জেলায়।

#গান্ধীনগর: আগেকার দিনে অনেকের বাড়িতেই বাঘের মাথা, হরিণের শিং বা শেয়ালের চামড়া দেওয়ালে সাজিয়ে রাখার চল ছিল। আমাদের দেশেও ছিল। পরবর্তীকালে সেই রীতি পালটেছে। কিন্তু তা-ও চোরা শিকার, বাঘের ছাল পাচার লেগেই রয়েছে। সীমান্তগুলিতে এই সমস্যা আরও বেশি। আমাদের দেশে বিষয়টি নিষিদ্ধ। কিন্তু তা-ও এই কাজ প্রতি নিয়ত হয়ে চলেছে। তথ্য বলছে, এর জন্য গত এক দশকে প্রতি তিন মিনিটে বিশ্বের কোথাও না কোথাও একটি পশুর হত্যা হয়েছে। গত কয়েক বছরে ১.৭ মিলিয়নেরও বেশি পশু এই কারণে মারা গিয়েছে।
পশুদের যেমন বেকায়দায় ফেলে শিকার করা হয়, পশুরাও কিন্তু সুযোগ পেলে তেমনই পালটা আক্রমণ করে। আর তারই প্রমাণ মিলল গুজরাতের গির সোমনাথ জেলায়। সিংহছানাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার সময়ে চার চোরাশিকারিকে আক্রমণ করল তাদের মা। গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি বনদফতরকে জানিয়েছেন সেখানকার চিকিৎসকরা। বনদফতেরও এলাকার নিরাপত্তা বাড়িয়েছে।
advertisement
জুনাগড় বনবিভাগের উপ বন-সংরক্ষক সুনীল বারওয়াল এই বিষয়ে জানান, গির সোমনাথ জেলার সূত্রপদ তালুকের খাম্বা জেলায় বুধবার ঘটনাটি ঘটে। একটি নেটের মাধ্যমে সিংহছানাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল চারজন। যা দেখতে পেয়ে তাদের আক্রমণ করে সিংহী। ঘটনায় চারজনই আহত হয়েছে। তাদের চারজনকেই হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ঘটনাটি জানাজানি হয়। চিকিৎসকরা বিষয়টি বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি বনবিভাগকে সতর্ক করে দেন এবং বনবিভাগ জুনাগড় পুলিশ স্টেশন সহযোগে তাদের গ্রেপ্তার করে।
advertisement
advertisement
বিষয়টি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বারওয়াল জানান, সিংহছানাদের ধরতে যে নেট এই চার চোরাশিকারি ব্যবহার করেছে, তা সাধারণত এই ধরনের ছোট পশুদের ধরতেই ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে বুধবার সকালের দিকে এই সতর্কবার্তা আসার পর সঙ্গে সঙ্গে বনবিভাগের কর্মীরা এলাকায় যান। তাঁরা দেখতে পান, একটি সিংহের ছানার পা তখনও ওই নেটের এক দিকে আটকে রয়েছে। তাঁরা ওই ছানাকে উদ্ধার করেন এবং প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেন।
advertisement
পুলিশ ও বনদফতরের তরফে জানানো হয়েছে, তারা ওই এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এই চারজন শুধুই সিংহছানাদের শিকার করতে গিয়েছিল না কি অন্যান্য পশুরাও তাদের টার্গেটে ছিল। তারা কোনও বড় চক্রের সঙ্গে জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, তারা সেখানে শিকার করতেই গিয়েছিল কি না, সেই বিষয়েও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
advertisement
সূত্রে খবর, হাসপাতাল থেকে চোরাশিকারিরা ছাড়া পাওয়ার পরই এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হবে। এই মুহূর্ত চারজনের একজন গুরুতর অসুস্থ। ফলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাচ্ছে না।
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
জাল ছুড়ে ধরতে চেয়েছিল ছানাদের, চোরাশিকারির বুক থাবা মেরে ফালাফালা করল সিংহী
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement