#ভোপাল: হাল ছাড়তে চাইছে না কংগ্রেস৷ যেভাবে হোক বিজেপিকে প্যাঁচে ফেলতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কমলনাথের দল৷ ওদিকে দলবদলের পর জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আজই দেখা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে৷ কিন্তু এসবের মাঝেই বিজেপির বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুলল বিজেপি৷ বলা হল, বেঙ্গালুরুতে তাঁদের দলের বিধায়কদের জোর করে আটকে রাখা হয়েছে৷ কংগ্রেসের নেতা জিতু পটওয়ারিকে মারধরের অভিযোগ তোলা হল৷ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠকে বলা হয়েছে, ‘মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের দুই মন্ত্রী জিতু পাটওয়ারি ও লক্ষণ সিং বেঙ্গালুরুতে গিয়েছিলেন৷ সেখানে তাঁদের হেনস্থা করা হয়েছে৷ আমাদের কাছে খবর আছে, তাঁদের গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ৷ এভাবে আমাদের বিধায়কদের দীর্ঘদিন ধরে ইচ্ছা করে আটকে রাখা হয়েছে, আমরা সেটা মেনে নেব না৷ পুলিশকে হয় তাঁদের উদ্ধার করতে হবে, অথবা আমরা শীর্ষ আদালতে আবেদন করব৷’
Madhya Pradesh Congress: Two of our minister Jitu Patwari & Lakhan Singh had gone to Bengaluru. They were assaulted, we have info that our ministers have been arrested. If the police don't take action & release our ministers & MLAs, we will have to take it to the court. #Bhopal pic.twitter.com/QM1D4KaToI
— ANI (@ANI) March 12, 2020
যদিও এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে চাইছে না বিজেপি৷ বরং মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিকে নতুন খাতে বইয়ে দিতে এখন তাড়াতাড়ি সব গুছিয়ে নিতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব৷ সেই কারণেই আজ মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছে বিজেপি৷ আজ ভোপালে রাজ্যপাল ফেরার পরেই তাঁরা দেখা করবেন বলে খবর৷
#WATCH Karnataka: Scuffle broke out between Congress leader Jitu Patwari and a police personnel, while Patwari was trying to meet the Madhya Pradesh rebel MLAs at Embassy Boulevard in Bengaluru. pic.twitter.com/OJrGbGD663
— ANI (@ANI) March 12, 2020
ওদিকে আস্থা ভোটের বিষয়েও দ্রুত এগিয়ে যেতে চাইছে বিজেপি৷ আগামী ১৬ মার্চ আস্থা ভোট চাইছে বিজেপি৷ কিন্তু তা সম্ভব করতে দিতে চাইছে না কংগ্রেস৷ কংগ্রেসের পক্ষে বলা হয়েছে, কোনও বিধায়কের ইস্তফাই গ্রহণ করা হয়নি৷ তাই এভাবে আস্থা ভোট করা যায় না৷ এর পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশের অধক্ষ্য জানিয়েছেন, যে বিধায়করা পদত্যাগ করেছেন, তাঁদের সামনাসামনি এসে পদত্যাগ পত্র দিতে হবে৷ না হলে তা গৃহীত হবে না৷ এই নিয়ে শুক্রবারের মধ্যে হাজিরা দেওয়ার কথা নোটিশ দিয়ে জানিয়েছেন স্পিকার৷ বিধায়কদের সামনে এসে বলতে হবে যে তাঁরা স্ব-ইচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন, না তাঁদের ওপর চাপ তৈরি করা হয়েছিল৷
ওদিকে বিজেপি বিধায়করা রয়েছে মানেসরের বিলাসবহুল ভিলায়৷ ১০৬ বিজেপি বিধায়কদের স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট ভিলায় রেখেছে গেরুয়া শিবির৷ হরিয়ানা পুলিশ সেই বিশাল ভিলার সামনে সারাক্ষণ পাহারা দিচ্ছে৷ রয়েছে হরিয়ানা পুলিশের সিআইডি উইিংও৷ কেউ অপরিচিত কারওর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না, কথাও বলতে পারছেন না৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।