#কলকাতা: ভারী ব্যাগের ভারে চাপা পড়ে থাকা এক ঝাঁক শিশু আজ প্রতিটি শহরে দেখা যাচ্ছে। বইয়ের মাঝে শৈশবের কান্না শিক্ষার ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে যেন! সহজেই অনুমান করা যায়, একটি ছোট শিশুর পক্ষে প্রতিদিন দশ বা বারোটি বই স্কুলে নিয়ে যাওয়া এবং পড়া কঠিন। এতে শিশুদের মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয়। তাদের মানসিক বিকাশ এভাবে গড়ে তোলা সম্ভবও নয়। ব্যাগের অপ্রয়োজনীয় বোঝা বেড়ে যাওয়ায় শিশু মানসিকভাবে হতাশ হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন- ফের লকডাউন আশঙ্কা? দেশে বাড়ছে ওমিক্রন! উদ্বিগ্ন কেন্দ্রের সতর্কবাণী রাজ্যগুলিকে
এই বিষয়টি মাথায় রেখে নতুন শিক্ষানীতি ২০২০-তে একটি বিধান করা হয়েছিল। সেখানে ব্যাগের ওজন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এই নীতি অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাগের ওজন তাদের শরীরের ওজনের ১০ শতাংশের বেশি হওয়া যাবে না। এই নীতি যাতে কঠোরভাবে প্রয়োগ করা যায় তা নিশ্চিত করার জন্য, শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে সমস্ত স্কুলকে নিয়ম মেনে চলার জন্য একটি আবেদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- চলছে বাঁদর সেনার জলবা! ২৫০ কুকুর ছানাকে খুন করে সোশ্যালে সুপারহিট
ব্যাগের বোঝা কমাতে শিক্ষা মন্ত্রকের নির্দেশ-
-প্রাথমিক শ্রেণী- থেকে দ্বিতীয় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কোনো হোমওয়ার্ক দেওয়া যাবে না।
ক্লাস থ্রি থেকে ফোর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে মাত্র দুই ঘন্টা হোমওয়ার্ক দেওয়া যেতে পারে।
মিডল স্কুল অর্থাৎ ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা এবং সপ্তাহে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা হোমওয়ার্ক দেওয়া যাবে।
মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দিনে সর্বোচ্চ ২ ঘন্টা এবং সপ্তাহে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা হোমওয়ার্ক দিতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রক স্কুল স্তরে শিক্ষার্থীদের ব্যাগের বোঝা কমানোর ব্যাপারে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে। কারণ, ব্যাগের ওজনের কারণে শিশুদের মধ্যে বিরক্তির সৃষ্টি হয়। সেই সঙ্গে শিশুদের উচ্চতা থেমে যায় এবং তাদের মধ্যে সৃজনশীলতার জন্ম হয় না। এছাড়া তারা স্কুলে যেতে খুব একটা আগ্রহী হয় না।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Education Minister, Government school, School Education Department, Students