#তামিলনাড়ু: মেয়ে বা ছেলের বিয়ে দেখার আগেই অনেক পরিবারেই বাবা মা মারা যানল নানা কারণে এ ঘটনা ঘটে (Metaverse Wedding)। কিন্তু জীবনের সব থেকে বড় দিনে সকলেই বাবা মায়ের আর্শীবাদ যায়। কিন্তু মৃত মানুষকে তো ফিরিয়ে আনা যায় না। তবে এমন এক অবাক করা ঘটনা ঘটেছে তামিল নাড়ুতে। তামিলনাড়ুর দীনেশ এসপি ও জনগানন্দিনী পারিবারিক ঐতিহ্য এবং প্রযুক্তির মিশেলে এক অভিনব বিয়ের আয়োজন করেছিলেন ফেব্রুয়ারির ৬ তারিখ। সৌজন্যে ‘মেটাভার্স’। মেয়ে-জামাইকে আশীর্বাদ করলেন মৃত বাবাও। যে বিয়ে নিয়ে এখন জোর চর্চা। পশ্চিমের দেশগুলিতে মেটাভার্সে নানা সামাজিক উৎসব আয়োজিত হলেও ভারতে এটাই প্রথম।
কী ভাবে সম্ভব ? সম্ভব টেকনোলজির সাহায্যে। এই প্রযুক্তি লোকজনকে এই বিধিনিষেধের সীমা পেরিয়ে এই বিশেষ দিনটিতে প্রিয়জনদের সামিল করার একটা মঞ্চ এনে দিয়েছে। মেটাভার্স হল এক ধরনের ভার্চুয়াল দুনিয়া। অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ইউজাররা ভার্চুয়াল আইডেন্টিটির মাধ্যমে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে ঢুকতে পারবেন(Metaverse Wedding)। এই ভার্চুয়াল স্পেসে লোকজন ঘোরাফেরা, কেনাকাটা ও বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশারও সুযোগ পাবেন। মেটাভার্স অগমেন্টেড রিয়েলিটি, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, মেশিন লার্নি, ব্লকচেন প্রযুক্তি ও আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্টের সংমিশ্রণ। এখানে জুড়ে দেওয়া সম্ভব মৃত মানুষদেরকেও। আর এই কাজটাই করেছেন দীনেশ।
At @kshatriyan2811 's meta wedding @TardiVerse #asiasfirst #Metaverse #metawedding pic.twitter.com/RRGyEzUz4Y
— cryptopangu.nft (@CryptoPangu) February 6, 2022
এখানে ব্যবহারকারীদের প্রত্যেকের একটি করে ‘থ্রিডি ভার্চুয়াল’ রূপ থাকবে। সেই ভার্চুয়াল রূপ বাস্তবের মানুষটির প্রতিনিধিত্ব করবে ভার্চুয়াল দুনিয়ায়(Metaverse Wedding)।সেখানেই ওই থ্রিডি রূপটির মাধ্যমে সংযোগ তৈরি হবে বাস্তবের ব্যবহারকারীর। সেখানে তাঁর মতো আরও অন্য মানুষ থাকবেন। তাঁদের সঙ্গে সেই দুনিয়াতে সম্পর্ক গড়ে উঠবে, কথা চলবে, আড্ডাও হবে। কিন্তু সবটাই ভার্চুয়ালী হবে। ভার্চুয়ালি সামিল হওয়ার পাশাপাশি অতিথিরা নিজেদের মধ্যে কথাবার্তাও বলতে পারবেন। কেউ নাচতে চাইলে ডান্স ফ্লোরে এর সুযোগ নিতে পারা যায়। ভার্চুয়ালি উপহারও দেওয়া যায় নবদম্পতিকে।
দীনেশ জানিয়েছেন, 'আমার শ্বশুর গত বছর এপ্রিলে মারা যান। তাই আমি চেষ্টা করি এই সুবিধা নেওয়ার। এখানে ত্রিডি অবতারে আমার শ্বশুরমশাইকে দেখা যাবে।সব থেক বড় বিষয় তিনি সেখান থেকে আমাদেরকে আর্শীবাদও করেন।" দিনেশ নিজেও একজন আইটি কর্মী। তাই এই ভাবনা তাঁর মাথাতেই আসে(Metaverse Wedding)। মেটাভার্সের সাহায্যে করোনাকালে যাঁরা বিয়েতে আসতে পারেননি তাঁরাও অংশ নিতে পেরেছেন। দীনেশের এই অভিনব ভাবনা তাক লাগিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভালবাসার নাকি ঘৃণার ! কেমন ছিল লতা মঙ্গেশকর ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের সম্পর্ক !
তবে এই মেটাভার্সের সব রকম সুবিধা পুরোপুরি পেতে সকলকে অন্তত ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন জাকারবার্গ। কারণ প্রযুক্তি-দুনিয়ার মূলধারায় মেটাভার্স আসতে ততটাই সময় লাগবে। পুরোপুরি এই প্রযুক্তি হাতে এলে বদলে যাবে গোটা দেশটাই(Metaverse Wedding)। শুধু মৃত মানুষের ফিরে আসা নয়। চলে যেতে পারবেন বন্ধুদের সঙ্গে ভার্চুয়াল ট্যুরেও।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Metaverse Wedding, Tamilnadu, Viral Video