শিলং: আগামিকাল সোমবার নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয় বিধানসভার ভোট গ্রহণ। গতকাল শনিবার বিকাল চারটের সময়েই শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচার। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে দুই রাজ্যে, নিজের নিজের কেন্দ্রে ভোটারদের মন জয় করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন সব প্রার্থীরাই। অন্যদিকে এই নির্বাচন ঘিরে যাতে কোন অশান্তি না হয় সেই জন্য চুড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে নাগালান্ড এবং মেঘালয়ে।
দুটি রাজ্যেই ৬০টি করে বিধানসভা কেন্দ্র। দুই রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর লোকজন টহল দেওয়ার সঙ্গে বাড়তি নজর রাখছে সীমান্ত এলাকায়। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডের সঙ্গে থাকা আন্তর্জাতিক সীমান্ত ‘সিল’ করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ এবং মায়ানমার থেকে এখন যাতে কেউ আসতে না পারেন সেই দিকে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। ২ তারিখ, নির্বাচনের ফল ঘোষণা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই আন্তর্জাতিক সীমান্ত ‘সিল’ থাকবে।
আরও পড়ুন: আর রইল না কিছু, সব শেষ! গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে চিরতরে মুছে গেল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম!
রবিবার ভোর থেকেই বিভিন্ন ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছতে শুরু করেছেন ভোট গ্রহণ কর্মীরা। একাধিক জায়গায় ভোট কর্মীদের যথাযথ ভাবে পৌঁছে দিতে হাজির থাকছেন বন দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা। কারণ বুনো হাতির যাতায়াতের পথ আছে৷ এছাড়া নদী পেরিয়ে বা জঙ্গলের মধ্যে ব্রিজ টপকে যাতায়াত করতে হচ্ছে ভোট গ্রহণ কর্মীদের। মেঘালয়ের নির্বাচনী ময়দানে আসছেন ৩৬৯ জন প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে ৩৬ জন মহিলা। মেঘালয়ে ৬০টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে BJP। তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই করছে ৫৬ আসনে। এই রাজ্যে লড়াইয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী কানরাড সাংমার দল NPP। এবারের মেঘালয়ের বিধানসভা ভোটের লড়াই ছিল সরগরম, NPP, বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেস লড়াই করছে। এই রাজ্যে ভোটের প্রচার সেরেছেন রাহুল গান্ধি।
আরও পড়ুন: ট্রেনের গায়ে সাদা-হলুদ-সবুজ ডোরাকাটা দাগ দেখেন? মানে বুঝলে কত যে সুবিধা, ভাবতে পারবেন না!
মেঘালয়ের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রায় ২১ লাখ ভোটার তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন। মেঘালয়ের ৩৪১৯টি বুথের মধ্যে ৬৪০ট উত্তেজনাপ্রবণ, ৩২৩টি বুথকে ‘ক্রিটিক্যাল’ এবং ৮৪টি বুথকে অতি উত্তেজনাপ্রবণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। মেঘালয়ে ১১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।
আবীর ঘোষাল
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।