হোম /খবর /দেশ /
রুদ্ধশ্বাস লড়াই! ৯ দিন পর ICU থেকে বেরোলেন ১০৫ ও ৯৫-এর করোনাজয়ী দম্পতি

Old Couple Beat Covid 19: রুদ্ধশ্বাস লড়াই! ৯ দিন পর ICU থেকে বেরোলেন ১০৫ ও ৯৫-এর করোনাজয়ী দম্পতি!

হার মানল ভাইরাস, ৯ দিনের রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে ICU থেকে বেরিয়ে এলেন ১০৫ বছরের স্বামী আর ৯৫ বছরের স্ত্রী!

হার মানল ভাইরাস, ৯ দিনের রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে ICU থেকে বেরিয়ে এলেন ১০৫ বছরের স্বামী আর ৯৫ বছরের স্ত্রী!

স্বামীর বয়েস ১০৫ ও স্ত্রীর বয়স ৯৫। প্রায় ৯ দিনের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর সুস্থ হয়েছেন দম্পতি।

  • Share this:

    #লাটুর: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু মিছিল। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যার নিরিখে সামনের সারিতেই থেকেছে রাজ্যটি। গোটা দেশকে এই মারাত্মক ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে কঠিন সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৭ মিলিয়ন পার করেছে। মৃত্যুর সংখ্যা ১ লক্ষ ৯৫ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। দিল্লি, পঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাতের মতো রাজ্যগুলিতেও করোনার গতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে মহারাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা এই রাজ্যগুলির তুলনায় বেশি। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, দেশে মৃত্যুর হার ৩.১% এবং সুস্থের হার ২০%, যা অন্যান্য় দেশের তুলনায় অনেকটা স্বাভাবিক। তবে মহারাষ্ট্রের একটি ছোট গ্রামের প্রবীণ দম্পতির করোনা যুদ্ধ অনুপ্রাণিত করেছে। লাটুরের টান্দা গ্রামের বাসিন্দা ওই প্রবীণ দম্পতি। স্বামীর বয়েস ১০৫ ও স্ত্রীর বয়স ৯৫। প্রায় ৯ দিনের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর সুস্থ হয়েছেন দম্পতি।

    বাড়ির লোক ভেবেই নিয়েছিলেন হাসপাতাল থেকে হয় তো বাবা-মাকে আর ফিরিয়ে আনা যাবে না। কিন্তু সব আশঙ্কা মিথ্যে প্রমাণ করে দেনু চ্যবন (Denu Chavan) ও মোটাবাই (Motabai) নামের এই দুই প্রবীণ স্বামী, স্ত্রী বিলাসরাও দেশমুখ মেডিক্যাল সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট (Vilasrao Deshmukh Institute of Medical Sciences) থেকে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত হয়েছেন। Times of India-র রিপোর্টে বলা হয়েছে চ্যবন পরিবারে তিন শিশু ও বৃদ্ধ দম্পতি-সহ মোট পাঁচ জন করোনায় আক্রান্ত হন।

    দম্পতির সন্তান সুরেশ চ্যবন (Suresh Chavan) সাংবাদিকদের বলেছেন, "আমার বাবা-মা ভীষণ জ্বরে ভুগছিলেন এবং আমার বাবার তীব্র পেটের ব্যথা ছিল। তাই আমি দুজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিই”। তিনি আরও বলেন প্রথমে বাবা-মাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে ভয় পেয়েছিলেন। কিন্তু তার পরে ভেবেছিলেন তাঁদের জীবন বাঁচানোর একমাত্র উপায় এটি। এর পর, তিনি তাঁদের গ্রাম থেকে তিন ঘন্টা দূরের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন দম্পতিকে। প্রবীণ দম্পতির চিকিৎসক ডাঃ গজানন হালকানচে (Dr Gajanan Halkanche) বলেন দুই রোগীর সিটি CT VALUE ছিল ১৫ ও ২৫, যা তাঁদের বয়সের জন্য উদ্বেগজনক ছিল। দু'জনকেই ICU-তে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছিল এবং অ্যান্টিভাইরাল রেমডেসিভির ইনজেকশনের পাঁচটি ডোজও দেওয়া হয়েছিল"।

    মহারাষ্ট্রের লাটুর জেলায় প্রতি দিনে প্রায় ১০০০ জনের করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে। এখনও স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। সময় মতো পরীক্ষা না করানোর ফলে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এই পরিস্থিতিতে বিলাসরাও দেশমুখ মেডিক্যাল সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের প্রবীণ দম্পতিকে দেওয়া চিকিৎসা পরিষেবা প্রশংসিত হয়েছে।

    First published:

    Tags: Coronavirus