#আগরতলা: ত্রিপুরায় পুলিশের ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghohs)। থানার ভিতরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর কুণাল ঘোষকে(Kunal Ghosh admitted to Hospital in Tripura) আগরতলার আইএলএস হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবারের এই ঘটনার পর বুধবার হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কুণাল ঘোষের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। আইএসএল আগরতলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কুণাল ঘোষেরস্যালাইন চলছে। তবে, তাঁর আচ্ছন্ন ভাব অনেকটাই কমেছে।
হাসপাতাল সূত্রে আরও খবর, হল্টার মনিটরিং শুরু হয়েছে কুণাল ঘোষের।আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। জানা গিয়েছে, গতকাল, মঙ্গলবার মূলত সুগার বেড়ে যাওয়া এবং রক্তচাপ আচমকা কমে যাওয়ার কারণেই অসুস্থ পড়েন তৃণমূল নেতা। এমনটাই বলছেন ডাক্তাররা।
তৃণমূল সূত্রে খবর, কুণাল ঘোষকে কলকাতায় ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে, আজ ফেরানোর মতো শারীরিক অবস্থা নেই কুণালবাবুর। কলকাতা থেকে তৃণমূল নেতৃত্ব সব বিষয়ে খোঁজখবর রাখছেন বলেই জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল ১১.৪৫ নাগাদ ত্রিপুরায় এনসিসি থানায় যান কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সেখানেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হওয়ার পরে থানার তরফে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, কুণাল ঘোষ সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু এরপরই থানা থেকে বেরনোর সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন কুণাল। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাড়িতে এল বউয়ের এক দাদা, তারপরই সিঁড়িঘর থেকে যা মিলল! তোলপাড় গোটা গ্রাম
কুণাল ঘোষের অভিযোগ, ''ভিত্তিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। মূলত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে এই ভিত্তিহীন মামলা। আমাদের দল তাই হাইকোর্টে মামলাটি চ্যালেঞ্জ করেছে। আদালতের তরফেও বলা হয়েছে, এই মামলায় এখন চার্জশিট দেওয়া যাবে না। তবু ওরা জেরার নামে ডেকে হয়রান করছে আমাদের। আমি খোয়াই থানায় যেতেও তৈরি ছিলাম। পুলিশই জায়গা বদল করল।'' প্রসঙ্গত সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুণাল ঘোষ-সহ তৃণমূলের মোট ৬ জন নেতার বিরুদ্ধে। তাই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। সেই মামলার ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ত্রিপুরায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল কুণাল ঘোষের।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Kunal Ghosh