ISRO Space Docking: মহাকাশে বিরাট সাফল্য ইসরোর! স্পেশ ডকিংয়ে ক্ষেত্রে চতুর্থ দেশ হিসাবে ইতিহাসে নাম লেখাল ভারত

Last Updated:

ISRO Space Docking: মহাকাশ সাফল্যের ক্ষেত্রে এবার ভারতের মুকুটে নতুন পালক। বৃহস্পতিবার ইসরো মহাকাশে প্রথমবারের জন্য স্পেস ডকিং সম্পন্ন করেছে।

মহাকাশে বিরাট সাফল্য ইসরোর! স্পেশ ডকিংয়ে ক্ষেত্রে চতুর্থ দেশ হিসাবে ইতিহাসে নাম লেখাল ভারত
মহাকাশে বিরাট সাফল্য ইসরোর! স্পেশ ডকিংয়ে ক্ষেত্রে চতুর্থ দেশ হিসাবে ইতিহাসে নাম লেখাল ভারত
নয়াদিল্লি: এতদিন তালিকায় ছিল মোটে তিন দেশ। এবার আমেরিকা, রাশিয়া ও চীনের পর চতুর্থ দেশ হিসাবে মহাকাশে স্পেস ডকিং-এর কাজ সম্পন্ন করে ফেলল ভারতও। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্পেস ডকিং সফলভাবে হয়ে যাওয়ায়, মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ দরজা খুলে গেল ভারতের সামনে। মহাকাশ সংক্রান্ত অনেক কাজই এবার মহাকাশে থেকেই করা সম্ভব হবে।
স্পেস ডকিং-এর এই কাজ নিয়ে বেশ অনেকদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরো। কিছু না কিছু সমস্যার কারণে তা বারবার পিছিয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে সাফল্য। বিষয়টির কথা টুইটারে জানিয়েছে ইসরো। তাদের টুইট, “মহাকাশযান ডকিং সফলভাবে সম্পন্ন! এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।”
advertisement
advertisement
ভারতীয় মহাকাশ সংস্থার এই মিশন স্পেস ডকিং এক্সপেরিমেন্ট (SpaDex) নামে পরিচিত। ২২০ কিলোগ্রাম ওজনের দুটি ছোট স্যাটেলাইটকে সফলভাবে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করাই ছিল এর প্রধান লক্ষ্য। টার্গেট এবং চেজার নামে দুটি স্যাটেলাইটকে ৩০ ডিসেম্বর দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে পাঠানো হয়েছিল। ভারতের পিএসএলভি রকেটেই এই দুটি স্যাটেলাইটকে পাঠানো হয়েছিল মহাকাশে।
advertisement
মহাকাশের এলিট লিস্টে ঢুকে পড়ার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করেছেন। এক্স-এ তিনি লিখেছেন, “স্যাটেলাইটের মহাকাশ ডকিংয়ের সফল প্রদর্শনের জন্য ISRO-এর সমস্ত বিজ্ঞানীদের এবং এই কাজের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে অনেক অভিনন্দন। আগামী বছরগুলিতে মহাকাশে ভারত আরও অভিযান চালাবে। স্পেস ডকিং আমাদের মহাকাশ মিশনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।”
advertisement
মহাকাশে একাধিক স্যাটেলাইটের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রকেট পাঠাতে হয়। এবার এই স্পেস ডক থেকেই সেই কাজগুলি সহজে করা যাবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। ISRO-এর তরফে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে যদি চাঁদের থেকে কোনও তথ্য এনে সেটিকে পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের প্রয়োজন হয়, সেই ক্ষেত্রেও এই স্পেস ডক দারুন কাজে আসবে।
ডকিংয়ের আগে, ভারত রবিবার পরীক্ষামূলকভাবে একটা চেষ্টা করেছিল। সেখানে দুটি উপগ্রহকে কক্ষপথে ধীরে ধীরে কাছাকাছি আনার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ৭ এবং ৯ জানুয়ারী পরীক্ষাটি দুবার স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে মিলল সাফল্য।
advertisement
২০২৩ সালে, ইসরো চাঁদে মহাকাশযান সফলভাবে পাঠিয়েছিল। চতুর্থ দেশ হিসাবে এই সাফল্য অর্জন করেছিল ভারত। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল, চাঁদের নমুনা সংগ্রহ এবং তার পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে বিশেষ জ্ঞান অর্জন। এবার টার্গেট আরও বড়। ইসরো চাইছে ২০৪০-এর মধ্যেই চাঁদে মানুষ পাঠাতে। আমেরিকা ছাড়া যে কাজ এখনও অবধি আর কেউ করতে পারেনি।
advertisement
এখানেই শেষ নয়, ভারত ২০৩৫ সালের মধ্যে তার নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন তৈরি করার লক্ষ্যও নির্ধারণ করেছে, যাকে “ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন” বলা হবে। এছাড়াও ২০২৮ সালের মধ্যে শুক্রে যাওয়ার কাজও পরিকল্পনায় রয়েছে। এসবের আগেও অবশ্য একটি মহাকাশ অভিযান হবে। ফের চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজে ঝাঁপাবে ইসরো।
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
ISRO Space Docking: মহাকাশে বিরাট সাফল্য ইসরোর! স্পেশ ডকিংয়ে ক্ষেত্রে চতুর্থ দেশ হিসাবে ইতিহাসে নাম লেখাল ভারত
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement