IPS Story: মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই গোপাল খেমকা খুনের কিনারা, 'দাবাং' আইপিএস কুন্দন কৃষ্ণণের নামে কাঁপে দাগি অপরাধীরা, কে এই IPS অফিসার?

Last Updated:

IPS Story: আসলে গত শুক্রবার গান্ধি ময়দান এলাকায় নিজের আবাসনের মূল ফটকের কাছেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন পটনার প্রখ্যাত ব্যবসায়ী গোপাল খেমকা। আর তাঁর মৃত্যু রহস্যের কিনারা হল মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে।

News18
News18
পটনা: পড়শি রাজ্য বিহারের রাজধানী পটনায় গোপাল খেমকা হত্যার ঘটনা ঘটেছিল গত ৪ জুলাই ২০২৫ তারিখে। আসলে গত শুক্রবার গান্ধি ময়দান এলাকায় নিজের আবাসনের মূল ফটকের কাছেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন পটনার প্রখ্যাত ব্যবসায়ী গোপাল খেমকা। আর তাঁর মৃত্যুরহস্যের কিনারা হল মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে। আর এই তদন্তে বড়সড় ভূমিকা পালন করলেন এডিজি (পুলিশ সদর দফতর) এবং এসটিএফ চিফ আইপিএস কুন্দন কৃষ্ণণ।
তাঁর নেতৃত্বে এসটিএফ এবং পটনা পুলিশ মূল শ্যুটার উমেশকে তিন দিনের মধ্যেই গ্রেফতার করেছে। এর পাশাপাশি খুনে ব্যবহৃত বাইক, পিস্তল ও অন্যান্য অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে বেউর জেলে অভিযানের ফলে এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে গ্যাংস্টার অজয় ​​ভার্মার যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। সে-ই আসলে ১০ লক্ষ টাকার চুক্তিতে খুনটি করিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। বিহারের জনপ্রিয় আইপিএস কুন্দন কৃষ্ণণের কৌশলগত নেতৃত্বের কারণেই মামলাটির দ্রুত কিনারা হল।
advertisement
advertisement
কে এই আইপিএস কুন্দন কৃষ্ণণ?
বিহারের জাঁদরেল আইপিএস অফিসার কুন্দন কৃষ্ণণ। ১৯৯৪ ব্যাচের বিহার ক্যাডারের অফিসার তিনি। ১৯৯৩ সালে ইউপিএসসি-তে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। বিহারের নালন্দা জেলার বাসিন্দা তিনি। ১৯৬৯ সালের ৮ মার্চ জন্ম কুন্দনের। অপরাধীদের বিরুদ্ধে সাহসী অভিযানের জন্য জনপ্রিয় তিনি। শুধু তা-ই নয়, কুন্দন এমন একজন অফিসার, যিনি বাহুবলী এবং মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কড়া দমনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তাঁর নামে কাঁপে দাগি আসামীরাও।
advertisement
কুন্দন কৃষ্ণণের কেরিয়ার:
প্রায় ৩০ বছরেরও বেশি সময়ের সফর কেরিয়ার কুন্দন কৃষ্ণণের:
১. ২০০২ সালের ছাপরা জেলের দাঙ্গা কড়া হাতে দমন করেছিলেন কুন্দন কৃষ্ণণ। সেই সময় তিনি ছিলেন সরণের এসপি। প্রায় ১২০০ বন্দি জেলে পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছিল। সেই সময় একে-৪৭ হাতে অভিযানে নামেন কুন্দন। ৫ জন বন্দি নিহত হয়েছিল।
advertisement
২. ২০০৬ সালে পটনা সিটির এসপি হিসেবে কুন্দন গ্রেফতার করেছিলেন বাহুবলি তথা প্রাক্তন সাংসদ আনন্দ মোহনকে।
৩. ২০০৫ সালে পটনায় রাষ্ট্রপতি শাসনের সময় সেখানকার এসএসপি ছিলেন কুন্দন কৃষ্ণণ। এলাকার বাহুবলীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন তিনি।
৪. সেন্ট্রাল ডেপুটেশনে থাকাকালীন কুন্দন কৃষ্ণণ সিআইএসএফ-এর এডিজি হিসেবে কাজ করেছিলেন। সাম্প্রতিক অতীতে কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের মামলায় সেখানকার নিরাপত্তা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিআইএসএফ-কে দেওয়া হয়েছিল। সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন কুন্দন কৃষ্ণণ।
advertisement
আইপিএস হিসেবে কুন্দন কৃষ্ণণ:
বিহার ক্যাডারের ১৯৯৪ ব্যাচের আইপিএস অফিসার হিসেবে সরকারি চাকরিজীবন শুরু হয়েছিল কুন্দনের। পটনা-সহ বহু জেলায় পুলিশ ক্যাপ্টেন হিসেবে কাজ করেছেন। ২০০৫ সালে নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে আইপিএস কুন্দন কৃষ্ণণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টারের এডিজি-র দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। ২০২৪ সালের শেষের দিকে কুন্দন কৃষ্ণণকে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশন থেকে বিহারে ডেকে আনা হয় এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টারের এডিজি এবং বিশেষ টাস্ক ফোর্স (STF)-এর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
IPS Story: মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই গোপাল খেমকা খুনের কিনারা, 'দাবাং' আইপিএস কুন্দন কৃষ্ণণের নামে কাঁপে দাগি অপরাধীরা, কে এই IPS অফিসার?
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement