#কলকাতা: করোনা আতঙ্কে বাড়ছে কালোবাজারি। চড়া দামে বিকোচ্ছে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার। তাই বাধ্য হয়ে কালোবাজারি রুখতে ময়দানে নেমেছে কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। ভারতে করোনা ভয়াবহ আকার না নিলেও, উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড থেকে ঘুরে আসা এক ভারতীয়ের শুক্রবারই করোনা ধরা পড়েছে। তাঁকে নিয়ে মোট ৩১ জনের এখনও করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন একাধিক মানুষ।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার জানিয়েছেন,'রাজ্যে কারও শরীরে করোনার জীবাণু মেলেনি। করোনা মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
পাশাপাশি তিনি এও স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন, করোনা আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে ওষুধের কালোবাজারি বরদাস্ত করা হবে না। করোনা ভাইরাস থেকে সংক্রমণ ঠেকাতে চিকিৎসকরা সচেতন ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ম করে ব্যবহার করতে বলছেন চিকিৎসকেরা। তারপরই করোনা ভাইরাস আতঙ্কের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একশ্রেণীর ওষুধ কারবারিদের বিরুদ্ধে কালোবাজারির অভিযোগ ওঠেছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শুক্রবার থেকেই লাগাতার অভিযানে নামে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।
এদিন বিকেলে মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন অঞ্চলের একাধিক ওষুধের দোকানে অভিযান চালান এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। কোন মাস্কের কত দাম? হ্যান্ড স্যানিটাইজারের কত দাম? এই সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন তদন্তকারীরা। ওষুধের দোকানের ব্যবসায়ীরা যে তথ্য দিচ্ছেন তা সঠিক কিনা সে ব্যাপারে ক্রেতাদের সঙ্গেও কথা বলে ইবি। অযথা আতঙ্কিত হবেন না বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনও। তবুও করোনা আতঙ্কে কাঁপছে গোটা দেশ। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে ভারত সরকারের তরফে। এ রাজ্যের সরকারের তরফেও বিমানবন্দরে চব্বিশ ঘন্টা নজরদারিতে স্বাস্থ্য দপ্তরের অ্যাম্বুলেন্সসহ মেডিকেল ক্যাম্পে সকাল ছয়টা থেকে বেলা দুটো, বেলা দুটো থেকে রাত আটটা এবং রাত আটটা থেকে পরের দিন সকাল আটটা পর্যন্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা বিমানবন্দরে থেকে গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন। সমস্ত বিমান যাত্রীদের শারীরিক পরীক্ষা করার পরই বিমানবন্দর ছাড়ার অনুমতি মিলছে। সতর্কতা হিসেবে চিকিৎসকরা বেশ কয়েকটি পরামর্শও দিচ্ছেন তাঁরা ।
১. হাত ভাল করে না ধুয়ে চোখ, নাক, মুখে হাত দেবেন না।
২. হাত বারবার ভাল করে সাবান অথবা স্যানিটাইজার দিয়ে ধোবেন।
৩. ‘ভিড় এলাকা’ এড়িয়ে চলুন।
৪. হাঁচি-কাশির সময় নাক মুখ ঢেকে রাখা।
৫. মাস্ক ব্যবহার করুন।
চিকিৎসকদের পরামর্শ, এই কয়েকটি বিষয় মেনে চললেই শরীরে সংক্রমণ ঠেকানো যাবে। আর এই সুযোগেই বিশেষ করে মাস্ক কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি করা হচ্ছে চড়া দামে । যাতে কোনো রকম কালোবাজারি না করতে পারেন ব্যবসায়ীরা তা দেখতে কলকাতার সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল সহ শহরের বিভিন্ন ওষুধের দোকানে লাগাতার অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকটি ওষুধের দোকান করোনা আবহের আতঙ্কের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কালোবাজারি করছে , এমন অভিযোগও পেয়েছে কলকাতা পুলিশ। সেই সমস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নজরদারি চালানো হচ্ছে। নিয়ম ভাঙলে কড়া ব্যবস্থার কথাও বলছেন তদন্তকারীরা।
Venkateswar Lahiri
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Black market, Corona, Kolkata Police